বাঁকুড়ার অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী পৌর শহর সোনামুখী। এই শহরের বুকে বসে ফল বিক্রি করছেন বিশেষভাবে সক্ষম স্বপন হালদার। সোনামুখী শহরের চৌমাথা থেকে বড়জোড়া যাওয়ার রাস্তার মুখেই বাম দিকে ছোট্ট একটি দোকানে ঝুলছে কলা, রয়েছে ডাব-সহ বিভিন্ন রকমের ফল। তার মাঝেই গুটিসুটি দিয়ে বসে আছেন এই ব্যক্তি। সংসার চালানোর তাগিদে করতে হচ্ছে এই দোকান!
advertisement
সোনামুখী পৌর শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপন হালদারের আনুমানিক বয়স ৫০ বছর। সকাল হলেই টোটো এই চেপে দোকানে চলে আসেন তিনি। টানা রাত আটটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখেন দু পয়সা রোজগারের আশায়! ঠিক দুপুর দু’টো বাজলেই স্ত্রী দোকানে নিয়ে আসেন খাবার এবং দোকানে বসেই খাবার খান তিনি। এভাবেই চলছে স্বপনবাবুর জীবনযুদ্ধ!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা! তাঁর উপর রয়েছে পুরো পরিবারের দায়িত্ব। তাই শারীরিক বাধাকে হার মানিয়েও তিনি প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন। ঠিকমত তিনি বুঝতেও পারেন না, উঠে দাঁড়াতেও পারেন না এমনকি চলতেও পারেন না। দোকানে ক্রেতারা এলে তারা নিজেরাই ফল নেন ন্যায্য মূল্য দিয়ে। এই ফলের দোকান চালিয়ে মেয়ে বৃষ্টি হালদারকে মাধ্যমিক পাস করিয়েছেন স্বপনবাবু। এখন সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। এভাবেই স্বপনবাবু তাঁর সংসার চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।