মাত্র ২২ বছর বয়সে নাম, পরিচয় গোপন করে, অপর এক বিপ্লবীকে বাঁচিয়ে যাওয়ার এই চেষ্টা ইতিহাসে বিরল। ১৯০৯ সালের ২২ আগস্ট কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানার মজিলপুরের দেওয়ান বংশে। তাঁর পিতার নাম নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও মাতা কাত্যায়নী দেবী। তিনি জয়নগর-মজিলপুর, বহড়ু, বিষ্ণুপুর ব্যায়াম সমিতির সভ্য ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : দেবজ্ঞানে করা হয় পুজো, স্বাধীনতা দিবসে দেওয়া হয় সিঙারা ভোগ! রায় বাড়ির আরাধ্য কে জানেন?
ছাত্রাবস্থায় আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, বাঘাযতীনের বুড়িবালামের যুদ্ধ, মাস্টারদার জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি যুবক বয়সেই স্বাধীনতা বিপ্লব আন্দোলনে যোগ দেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার বীজ মন্ত্র লেখা হয়েছিল এই মন্দিরে বসে! দেখে আসতে পারেন আপনিও
বহড়ুর বিপ্লবী সুনীল চট্টোপাধ্যায়, বোড়ালের সাতকাড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুপরিচিত বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং একজন বিপ্লবী আন্দোলনের যোদ্ধায় পরিণত হন। তিনি মজিলপুর জেএম ট্রেনিং স্কুলের ছাত্র ছিলেন। আলিপুর জেলা সদরের ঠিকানা এখনও বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের নামে উল্লেখিত। বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে ১৩ -১৪ বছর আগে এই দিনটিকে পালন করা হত।
এই বিপ্লবী ছদ্মনামে প্রবেশ করে কোর্টরুমে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ফাঁসির সাজা দেওয়া বিচারক গার্লিককে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। তার পরমুহূর্তে মুখে নেন সায়নাইড। কিন্তু ততক্ষণে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, ছদ্মনাম ব্যবহার করে অন্য বিপ্লবীকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে দিনটি পালন না করা হলেও বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য স্মৃতিরক্ষা কমিটি এই দিনটি পালন করে মজিলপুর দত্ত বাজারে বিপ্লবীর বাড়ির পাশে তাঁর আবক্ষ মূর্তির সামনে। বিপ্লবীরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও রয়ে যায় তাঁদের বিপ্লব, তাঁদের আত্মবলিদান। যাঁদের অবদানের জন্যেই আজ আমরা নিজের দেশের মাটিতে স্বাধীন।