মহুয়া লিখেছেন, ‘‘২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছরে সরকারের যে সর্বব্যাপী উন্নয়ন তা করিমপুরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি- এই সময় প্রায় ১৪৯ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে বরাদ্দ করাই। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্থায়ী বাস স্ট্যান্ড-এর মতো পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে শুরু করে লালন মঞ্চ,সদ্ভাবমন্ডপ-এর মতো সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্র নির্মাণের মতো প্রকল্প থেকে শুরু করে করিমপুর আই.টি.আই, করিমপুর পান্নাদেবী কলেজের মানোন্নয়ন এর মতো শিক্ষা মূলক প্রকল্প থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নের মানচিত্রে করিমপুরকে শামিল করার চেষ্টা করেছি এবং আপনারা তা চাক্ষুষও করেছেন। ২০১৯ সালে আমি কৃষ্ণনগর লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া থেকে আজ অবধি আমার লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভায় সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি করিমপুর বিধানসভার মানুষের ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়ে এই বিধানসভাতেও সরকারের উন্নয়নমূলক প্রল্পের কাজ করার চেষ্টা করে গিয়েছি। কোভিড পরিস্থিতিতে করিমপুর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে Oxygen Concentrator, করিমপুর আনন্দপল্লী শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণ থেকে শুরু করে জিম, কমিউনিটি টয়লেট-সহ নানা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থানুকূল্যে ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদে রূপায়ণের কাজ শুরু করেছি।’’
advertisement
আরও পড়ুন- মাদ্রাসা কমিশনেও প্রশ্ন 'ভুল'! দ্রুত রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট
বিগত কয়েকদিন আগে PHE দফতরের মাননীয় মন্ত্রীর বদান্যতায় হোগলাবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের যাত্রাপুর গ্রাম-সহ বেশ কিছু গ্রামে পানীয়জল সংকটের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করেছি। গত সপ্তাহে ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের সহায়তায় নির্মিত “SHEFEXIL” দ্বারা করিমপুরের পান চাষীদের পান যাতে বিদেশে রফতানি করা যায় তার আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। আপনাদের বিনোদনের জন্য ‘আহারে তেহট্ট’-র মতো মেলা আয়োজন করার চেষ্টা করেছি।
আমি ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগরের সাংসদ হওয়ার পরেও (২০১৯ থেকে আজ অবধি) উদ্যোগ নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে প্রায় ২১ কোটি (করিমপুর ১ block-৬ কোটি এবং করিমপুরে ২, block-১৫ কোটি টাকা) করিমপুর বিধানসভার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করাই। এ ছাড়াও আমার সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় ৯২ লক্ষ টাকার কাজ করিমপুরে কলেজ, হাসপাতাল ও বাস স্ট্যান্ড (যেগুলো আমার লোকসভার Catchment Area মধ্যে পড়ে) চত্বরে করাই।
করিমপুরের একজন সাধারণ ভোটার হিসেবে বা আপনাদের পূর্বতন বিধায়ক হিসেবে প্রত্যেক করিমপুরবাসীর সঙ্গে আমার নাড়ির টান ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আরও পড়ুন- রাশিফল ৯ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
কিন্তু আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে আরও বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশের কারণে আমাকে ওই অঞ্চলেগুলোতে আরও বেশি সময় দিতে হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আগামী দিনে উন্নয়নমূলক প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রয়োজনে মাননীয় সাংসদ জনাব আবু তাহের খান সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি করিমপুরের ভোটার ও অধিবাসী হিসেবে আমার করিমপুরের বাসস্থানেই থাকব।’’