ফিশ স্যাংচুয়ারির মধ্যে বেড়ে উঠছে নানা ধরনের সংরক্ষিত মাছ। পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদের সহযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই অভয়পুকুর বা ফিশ স্যাংচুয়ারি গড়ে তোলা হচ্ছে। মহিষাদল রাজবাড়ির পুকুরকে অভয়পুকুর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কী এই অভয়পুকুর বা ফিশ স্যাংচুয়ারি? আমরা সবাই অভয়ারণ্যের নামটা সঙ্গে পরিচিত রয়েছি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, তাদের প্রাকৃতিক ও সহজাত জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য বলা হয়। ঠিক সেই অভয়ারণ্যের আদলেই বিভিন্ন ধরনের বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য তৈরি হয়েছে অভয়পুকুর।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘আদি-নব্য’ বিবাদ অতীত, দিঘায় দুই প্রজন্মের মিলন শিবজায়ার হাত ধরে
অভয় পুকুরে প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে ওঠে বিলুপ্তপ্রায় দেশী মাছ। দেশি পুঁটি, মৌরলা, দেশী কই, ল্যাটা, শিঙি, ভ্যাদা, ট্যাংরা, পাঁকাল, ন্যাদোস প্রভৃতি মাছ অভয়পুকুরে বেড়ে উঠছে। মহিষাদলে অভয়পুকুরে মোট ৩৩ ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ ছোট ও পরিণত অবস্থায় এনে জলাশয়ে ছেড়ে বড় করা হচ্ছে। সংরক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জলাশয়গুলিতে। আপাতত তিন হাজার করে চারা ছাড়া হয়েছে। অথচ আগে এই সমস্ত দেশীয় মাছ যার বেশিরভাগই সুস্বাদু, তা বাজারে পাওয়া যেত।
আরও পড়ুন : আধুনিকতার দাপটেও অটুট! মাসে মোটা আয়, প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেই বাজিমাত শিল্পীর
এখন অনেক মাছই বিলুপ্ত হওয়ার পথে। দূষণ সহ নানা পারিপার্শ্বিক কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সমস্ত মাছ। যা এখন বাজারে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফলে এই ধরনের মাছ ফিরিয়ে আনতেই এমন পরিকল্পনা রাজ্য মৎস্য দফতরের। অভয়পুকুর সম্পর্কে, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির জল সম্পদ ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি মণ্ডল বলেন, অভয়পুকুর বা ফিশ স্যাংচুয়ারি হারিয়ে যাওয়া মাছ ফিরিয়ে আনতে গড়ে তোলা হয়। যেখানে বিলুপ্তপ্রায় দেশী মাছ নতুনভাবে উপায়ে চাষ করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একদিকে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংরক্ষণ ও দেশীয় মাছ বাজারে যোগান বজায় রাখতেই অভয়পুকুর গড়ে তোলা হয়।’ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ছাড়া জুনপুট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেনরি আইল্যান্ড, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, বাঁকুড়ার ওন্দা, পূর্ব বর্ধমানের যমুনাদিঘি এবং মালদহের বড় সাগরদিঘি এলাকায় অভয়পুকুর তৈরি করা হয়েছে।