আরও পড়ুন: জমি কর্ষণ ছাড়াই চাষ হচ্ছে ডাল-তৈলবীজ, দরকার পড়ছে না সারের! পয়রা পদ্ধতি কী জানেন?
সন্ধেয় চতুর্দশী তিথি পড়লে ভক্ত সমাগম আরও বাড়বে তারাপীঠ মন্দিরে। কথায় আছে, ‘ক্ষ্যাপার চোদ্দ, ক্ষেপির আট’ মেনে চললে মানুষের মঙ্গল হয়। ক্ষ্যাপার চোদ্দ মানে আজ শিব চতুর্দশী, আর ক্ষেপির আট মানে দুর্গা অষ্টমী। অর্থাৎ অষ্টমীতে মায়ের চরণে অঞ্জলি দিতে যেমন প্যান্ডেলে ভিড় জমে তেমনই আজ শিব চতুর্দশীতে ভোলানাথের কাছে শ্রদ্ধা জানাতে তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় করেন ভক্তরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিনে দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে দেবী পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল।
advertisement
তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে দেবী তারার মূর্তি ছাড়া অন্য কারোর পুজো করা হয় না। আর সেই কারণেই দুর্গাপুজোর সময় মা তারাকে দুর্গা রূপে, লক্ষ্মী পুজোর সময় লক্ষ্মী রূপে, কালী পুজোর সময় কালী রূপে এবং সরস্বতী পুজোর সময় সরস্বতী রূপে পুজো করা হয়। আর তবে মহা শিবরাত্রিতে মা তারার মন্দিরের পাশেই শিবের মন্দির আছে, সেখানে ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, আজ যেহেতু একদিকে বামদেবের আবির্ভাব তিথি, অন্যদিকে শিবরাত্রি সেই কারণে সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে তারাপীঠ মন্দিরে। যত রাত এগিয়ে আসবে তত ভক্তদের সমাগম আরও বৃদ্ধি পাবে। এদিন সকালে মায়ের মঙ্গল আরতির পর পুজো শুরু হয়েছে। দুপুরে প্রত্যেক দিনের মত পোলাও, খিচুড়ি, সবজি, পাঁচ রকম ভাজা, মিষ্টি, শোল মাছ পোড়া দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধেতে মা তারার সন্ধ্যা আরতির পর শীতল ভোগ এবং রাতে বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়েছে শিব চতুর্দশী উপলক্ষে।
সৌভিক রায়