সময় বদলেছে, সঙ্গে মানুষের চাহিদা ও রুচির পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় জাদু প্রদর্শনী ছিল বিনোদনের বড় মাধ্যম। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেত জাদু প্রদর্শনীর তাবু ৷ আর সেখানে ভিড় জমাত আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষজন। শহর কিংবা গ্রামে মাঝে মাঝে দেখা মিলতো এমন ধরনের জাদু প্রদর্শনী।
আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে ভোগে অবশ্যই রাখুন এই পদ, পুজোর সময় খেয়াল রাখুন বিশেষ দুই নিয়ম
advertisement
কিন্তু সময় এবং প্রযুক্তির ঘেরাটোপে পেরিয়ে চরম ব্যস্ততার মাঝেও সেই সব জাদু প্রদর্শনী অনেকদিন পর আবার দেখা মিলল বসিরহাট শহরে।
বর্তমানে জাদু প্রদর্শনীর তাঁবু পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের টাউন হলে। সেখানেই তাদের লড়াইয়ের কাহিনি শুনল লোকাল ১৮ বাংলা। তবে মোবাইল এবং প্রযুক্তির ব্যবহার যতই বাড়ুক না কেন। জাদু প্রদর্শনী কখনওই হারাবে না। একেবারে সাবলীল ভাবে বললেন প্রদর্শনীর ম্যানেজার জাদুকর রাজকুমার।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ‘বুড়ি’ জীবিত মুরগিকে চেনেন? নাম পিনাট; টিভি দেখে-দই খায়! ওর কাণ্ড জানলে চমকে যাবেন
৪৩ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিনি জাদু প্রদর্শনী দেখিয়েছেন। তিনি জানান, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়লেও জাদু প্রদর্শনীতে সাধারণ মানুষের একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে বরাবরই। জাদু প্রদর্শনীতে একাধিক কলা কুশলী ও রোমহর্ষক বাহাদুরির খেলা যা অনায়াসে দেড়-দু’ঘন্টা সময় ধরে টানটান উত্তেজনায় দর্শক আগ্রহ নিয়ে বসে থাকেন। তবে বহুদিন পর জাদু প্রদর্শনীর দেখা মেলায় সেই আনন্দের ভাগ নিতে ভুলছেন না বসিরহাটের মানুষ। জাদু প্রদর্শনীর আসর বসতেই অনেকেই খুশি।
জুলফিকার মোল্যা