চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে পরীক্ষার্থীদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি যে তুঙ্গে তা বলাই বাহুল্য। আসলে স্কুল জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মাধ্যমিক নিয়ে খানিকটা পড়ুয়ারা দুশ্চিন্তায় থাকে। তাই সঠিক কৌশল মেনে পড়াশোনা করা খুবই জরুরি।
advertisement
তাহলে ঠিক কীভাবে প্রস্তুতি নিলে মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করা যাবে। পরীক্ষায় প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে আগে পরীক্ষার সিলেবাস ভালো করে বুঝতে হবে। সেক্ষেত্রে সিলেবাস মেনে খুব ভাল করে পড়লেই প্রস্তুতির অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।
যে বিষয়গুলি প্রার্থীরা পড়বে সেগুলির ছোট নোট তৈরি করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে শেষের দিকে রিভিশন করতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই পড়ুয়ারা পরীক্ষায় সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতেও পারবে।
জীবনের প্রথম পড় পরীক্ষায় সাফল্যের চিন্তা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু পরীক্ষার আগে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলার বিষয়ে ভুললে চলবে না। সেক্ষেত্রে ব্যালেন্স ডায়েট এবং পরিমিত ঘুম দীর্ঘ সময়ে পড়াশোনা করতে সাহায্য করবে। সারাদিন পড়ার পর অন্তত ৬-৭ ঘণ্টার সাউন্ড স্লিপ দরকার | তাই এই দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
কোন পাঠ্য বিষয় পড়ে লিখে রাখলে তা বেশী দিন অবধি মনে থাকে। তবে পরীক্ষার জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ পড়া মুখস্থ করে যদি ভুলে যাও তবে তা পুনরায় পড়ে খাতায় লিখে নিতে হবে | এভাবে লেখার অভ্যাস তৈরি করলে পরীক্ষার হলেও অসুবিধে হবে না।
প্রশ্নপত্রেই নির্দেশ দেওয়া থাকে প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী উত্তর করার জন্য। এতে সুবিধা হল পরীক্ষার্থীরা প্রথমেই এমসিকিউ এবং এসএকিউ-এর উত্তরগুলি করে নেবে, ফলে এখান থেকে যে সময়টা উদ্বৃত্ত হবে, তা পরে অন্য প্রশ্নের উত্তর লেখার সময়ে কাজে লাগাতে পারবে।
আরও পড়ুন: বরফের মতো গলবে চর্বি! ঝরবে পেটের মেদ…রাতে শুধু খেতে হবে এই একটি জিনিস
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের চলন হল কম নম্বর থেকে বেশি নম্বরের প্রশ্নের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই নির্দিষ্ট ক্রমে উত্তর দিলে উদ্বৃত্ত সময় সম্পর্কে পরীক্ষার্থীদের একটা ধারণা তৈরি হবে, যে সময়টা তারা ব্যয় করতে পারবে রচনাধর্মী প্রশ্ন এবং প্রবন্ধ রচনায়। যেকোনও পরীক্ষায় শুধু প্রস্তুতি শেষ কথা নয়। একইসঙ্গে সময়ের মধ্যে সঠিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি। তাই প্রস্তুতির সময় ঘড়ি ধরে বিষয়গুলি অভ্যাস করতে হবে।
রাকেশ মাইতি





