জানা যায়, সুপ্রিয়ার জন্মের পর এক বছরের মধ্যে হৃদয়ে দুটি ছিদ্র ধরা পরে। তারপরেই দেড় বছর বয়সে হঠাৎ স্ট্রোক হয়। আর তাতেই ডান দিকের ব্রেন অক্ষম হয়,অক্ষম হয় ডান হাতও। দেশ বিদেশ ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি চলে তার পড়াশোনা। সে পড়াশোনায় ছোট থেকে ভাল হলেও সমস্যা তার ব্রেনের অক্ষমতা।পড়াশোনা সে খুব বেশি মনে রাখতে পারেনা। তারপরেও জীবনের বড় পরীক্ষায় বসার জন্য মনের জোর তার প্রবল।
advertisement
আরও পড়ুন: সংখ্যায় হাজারেরও বেশি! বিপুল পরিমাণ বেআইনি কচ্ছপ উদ্ধার সীমান্ত এলাকা থেকে
ডান হাত অক্ষম হওয়ায় বড় পরীক্ষায় বসার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাইটার নিয়ে পরীক্ষায় বসেছে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেই সেই বিশ্বাস তার পরিবারের। মেয়ে ৭০% প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার যাবতীয় কাজ করে তার মা।মেয়ে পাস করলে আরও পড়াতে চাই তার পরিবার। যদিও সমস্যা তাঁদের পরিবারিক অভাব অনটন।
কোনও রকমে ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসে মেয়ের চিকিৎসা ও পড়াশোনা চালাই তার বাবা। এই বিষয়ে সুপ্রিয়ার মা জানান মেয়ে ছোট থেকে প্রতিবন্ধী হলেও পাইনি সরকারি কোনো সুবিধা।অনেকবার সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেও কোনও সাহায্য মেলেনি।
তারা যদি পাশে কেউ দাঁড়ায় তাহলে আগামী দিনে সুপ্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে পড়াশোনাতে। সব মিলিয়ে এখন দেখার সুপ্রিয়া কি তার জীবনের বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরিবার থেকে এলাকার বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফুটাবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
Suvojit Ghosh