বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার পরের বছর লোকসভা ভোট। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। ২০১৯ লোকসভা ভোটে শাসক দলের খারাপ ফলের অন্যতম কারণ বলে ধরা হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে পেশি শক্তির ব্যবহারকে। তাই এখন থেকেই কর্মীদের সংযত হতে বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধল সিপিএম-বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর জেলায় নয়া মডেল
advertisement
কামারহাটিতে তৃণমূলের তরফে মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ তোলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে তিনি বলেন, “একটাই অনুরোধ, মেরে পঞ্চায়েত নিয়ে নেব এই চিন্তা থেকে সরে যান। মারধর করে পঞ্চায়েত নিতে চাই না। হৃদয়ে লেখা নাম রয়ে যাবে। প্রত্যেক মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলতে হবে। তৃণমূলের কোনও ভুল থাকলে কর্মীরা এসে নেতাকে বলুন এই কাজ ঠিক করেননি। তারপর যদি কর্মীর উপর আক্রমণ হয়, আমরা দায়িত্ব নেব। কিন্তু নেতার অন্যায় হলেও নেতাকে বলতে হবে।”
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে লকেট-অগ্নিমিত্রার 'সন্ত্রাস' নিদানেই সমর্থন দিলীপ ঘোষের! 'কেঁচো' 'সাপের' তত্ত্ব ফিরহাদের
এর পরই মদন মিত্র বলেন, “প্রয়োজনে যে শ্রেষ্ঠ কাজ করবে তাঁর গলায় উত্তরীয় নয় বিধায়কের মালা পরিয়ে কামারহাটি থেকে বিদায় নেব।” সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট হোক, সবাই ভোট দিক। আমরাও দলের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই করি। এটাও বলার সময় এসেছে যে, যারা আর্থিক সুবিধার জন্য এসেছিলেন তাঁদের দল থেকে সরে যাওয়ার সময় এসেছে। আমাদের ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎভাবে কাজ করেন। আমরা চাই না কিছু লোক তাঁদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করুক। তৃণমূলের লড়াই নিজের সঙ্গে।”
আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।