একটি রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গাপুরের সুশান্ত কুমার রায় প্রথম উপভোক্তা হিসেবে এই সুযোগ পেয়েছেন। তাও আবার নামমাত্র খরচে। আবেদনের কয়েকদিনের মধ্যেই সংস্থার আধিকারিকরা বাড়িতে সংযোগ দিয়ে গিয়েছেন। প্রথম গ্রাহক হিসেবে সুযোগ পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে পড়েছেন সুশান্ত বাবু। অন্যদিকে, দুর্গাপুরে আরও অনেকেই এই সুযোগ পেয়ে যাবেন কয়েকদিনের মধ্যে। সূত্রের খবর এমনটাই।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ২ টাকাতেই! কাপের পর কাপ চা খেলেও চিন্তা নেই আর, লম্বা লাইন দোকানের সামনে
কিন্তু কী চলছে দুর্গাপুরে? আসল কাণ্ড হয়েছে এনপিজি নিয়ে। অর্থাৎ ন্যাচারাল পাইপড গ্যাস। বাড়িতে বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া। এই কাজ শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের সেল কো অপারেটিভ এলাকায় সুশান্ত কুমার রায়ের বাড়িতে দেওয়া হয়েছে এই সংযোগ। যার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন সেইল কর্তৃপক্ষের আধিকারিক বি পি সিং।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনি-সহ আরও কয়েকটি এলকে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে বলে খবর। গ্যাস সংযোগ দেওয়া প্রাপ্ত সংস্থার অন্যতম জিওগ্রাফিকাল আধিকারিক শুভজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা দুটি বর্ধমানে কাজ করার বরাত পেয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আড়াই লক্ষ পরিবারকে পাইপড গ্যাস সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
এই গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য নামমাত্র খরচ হয়। এই গ্যাসের দাম এলপিজির তুলনায় কম হবে। থাকবে মিটার। প্রতি দু’মাসে একবার বিল আসবে। এই গ্যাস লিক হলে সহজে বাতাসে মিশে যাবে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম হবে। সবমিলিয়ে দুর্গাপুরে পাইপড গ্যাস সংযোগ শুরু হওয়ায় খুশি শিল্পাঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে, দুই বর্ধমানের মানুষ তাকিয়ে রয়েছেন, কত দ্রুত পরিষেবা পাবেন সেই দিকে।
নয়ন ঘোষ





