জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে পাঁশকুড়া থানার পিতপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মাইতির সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার অন্তর্গত সামাটের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের পাকাদেখা হয়। এমনকি বিয়ের কথাবার্তাও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তারপরই বাদ সাধে ওই পাত্রীর বয়স। কারণ সেই সময় ১৮ বছর বয়স হয়নি মেয়েটির। সেই সময় মেয়েটি নাবালিকা থাকায়, দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হয় মেয়েটি যখন সাবালিকা হবে, তখন দুই পরিবার দাঁড়িয়ে থেকে তাদের বিয়ে দেবে। সেই দেখাশোনা থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই যুবতীর সঙ্গে পাঁশকুড়ার পিতপুরের বাসিন্দা সঞ্জয়ের। প্রেমের সম্পর্কে গাঢ় হতে থাকে দুজনের মধ্যে। এমনকি শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে অভিযোগ তরুণীর।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৬-এ কত আসন পাবে বিজেপি? এ কী বলে দিলেন দিলীপ ঘোষ! কত আসন জানেন? ‘ফর্মে’ ফিরেই ব্যাট চালালেন দিলীপ
এ বিষয়ে ওই তরুণীর অভিযোগ, ‘সঞ্জয় আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে, আমি যখন বিয়ের জন্য উপযুক্ত হই, তখন সঞ্জয়কে বারবার বিয়ের কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যায়, আর তারপরই দাসপুর থানা ও পরে কোর্টের দ্বারস্থ হই।’ অন্যদিকে পাত্রের বাড়ি থেকে জানা যায়, মামলা থেকে জামিন নিয়ে নেয় পাত্র সঞ্জয়। তারপর নতুন করে আবার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে। তবে এক্ষেত্রে বিয়ের পাত্রী আর পূর্বের তরুণী নয়। অন্য একজন।
সঞ্জয়ের পূর্বের প্রেমিকা হঠাৎ খবর পায়, তার প্রেমিক অন্য একজনকে বিয়ে করেছে। এই খবর জানার পরেই দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে ওই যুবতী। এরপর নিজের অধিকারের দাবিতে পাঁশকুড়ার পিতপুরে সঞ্জয়ের বাড়িতে এসে হাজির হন। বৌভাতের দিন সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে ওই যুবতী।
ধর্নায় বসলে সেখানে সঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে বচসা থেকে শুরু করে হাতাহাতি হয়ে যায়। খবর যায় পাঁশকুড়া থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। সমস্ত ঘটনা শোনার পর ওই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় রাতে পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবতী।
—-সৈকত শী