উৎসব এই বিষয়ে বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে প্রথম আমি যোগাযোগ করেছিলাম এক পদ্ম চাষীর সঙ্গে এবং তারপর এই চাষ শুরু করেছি। আর বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য এই চাষে কোনো রকম বেশি পরিশ্রম নেই। পরিচর্যা খুব কম করতে হয়।” উৎসবের বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। বাবা স্বপন ঢালি একজন ছোট কৃষক, মা প্রভাতি ঢালি গৃহবধূ। বিএ পাশ করে চাকরির প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের স্বপ্নটাও বাঁচিয়ে রেখেছেন উৎসব। ইউটিউব দেখে নিজেই শিখে নিয়েছেন ছাদে পদ্ম চাষ।
advertisement
কলকাতা ও উত্তর দিনাজপুর থেকে সংগ্রহ করেছেন নানা রকমের বীজ। আর তারপর শুরু সেই প্রেমময় পরিশ্রম। গামলায় ফুটে উঠেছে বাহারি সব পদ্ম—লাল, হলুদ, সাদা, সবুজ, গোলাপি! ভারতীয় প্রজাতির মধ্যে রয়েছে সিতারা, ঐশ্বর্য, শ্বেতা, মোহনা, বাটার মিল্ক। বিদেশি পদ্মের মধ্যেও রয়েছে থাইল্যান্ডের অদিথি, রেড পেঙ্গুইন, জুলিয়েট, ডিলান, রেড অ্যামিটি ও সরস্বতীর মতো দুর্লভ প্রজাতি। উৎসবের মা প্রভাতি ঢালি বলেন, “ও সারাদিন এই নিয়েই থাকে, পড়াশোনাও করে। পদ্ম ফুল ও খুব ভালবাসে। আমাদেরও ভালো লাগে দেখতে। অনেকে দেখতেও আসে।”
আরও পড়ুন: প্রশাসনের তরফে মেলেনি সহযোগিতা! গ্রামবাসীরা নিজেরাই সংস্কার করলেন রাস্তা
উৎসবের কথায়, এই পদ্ম চাষ করেও ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব। নিজের স্বপ্নপূরণ তো বটেই, উৎসব দেখিয়ে দিচ্ছেন ইচ্ছা আর অধ্যবসায়ের জোরে নিজের পছন্দের জগতেও তৈরি হতে পারে বিকল্প আয়ের পথ। ছাদে পদ্ম চাষ করে উৎসব একদিকে যেমন স্বনির্ভরতার বার্তা দিচ্ছেন, তেমনই নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠছেন এক বড়ো অনুপ্রেরণা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী