নিতুড়িয়ার বড়তোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সীমন্তর পারিবারিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল নয়। সংসারে রয়েছেন স্ত্রী, বাবা-মা, দুই সন্তান ও ভাই। গোটা পরিবারের দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন সীমন্ত। ২০১৩ সালে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পান তিনি। কিন্তু সেই চাকরির বেতনে সংসার চলত না। তাই বাড়তি আয়ের জন্য এক সময় টোটো চালাতেও হয়েছে সীমন্তকে। টোটো চালানোর সময় একদিন সীমন্তের জীবনে নেমে আসে কালো ছায়া। এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন তিনি। সরবড়ি মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন টোটো নিয়ে। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী ট্রাক এসে সজোরে ধাক্কা মারে তার টোটোতে। টোটোতে থাকা তিনজন যাত্রী সেখানেই প্রাণ হারান। সীমন্ত গুরুতর আহত হলেও আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণে বেঁচে যান। সেই দিনের কথা আজও তার গায়ে কাঁটা দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: আর নয় ২০০৮, ২১ এর পুনরাবৃত্তি! চরম তৎপরতা প্রশাসনের, পূর্ব মেদিনীপুরে যা করছে প্রশাসন
আর এই কঠিন বাস্তবতার মাঝেই হঠাৎ এক দিনের সিদ্ধান্ত বদলে দিল সবকিছু। কোটিপতি হয়ে এখন সীমন্তর চোখে শুধুই স্বপ্ন নিজের পরিবারের জীবনে একটু স্বস্তি আনার। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ার। নিজের পরিবার ছাড়াও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদেরও পাশে দাঁড়াতে চান পুরুলিয়ার সীমান্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সীমন্ত মণ্ডলের এই গল্প শুধুমাত্র এক জনের ভাগ্যবদলের কাহিনী নয়, এটি একটি সংগ্রামী মানুষের লড়াই। ১৫০ টাকার টিকিট বদলে দিয়েছে তার ভবিষ্যৎ, কিন্তু মানুষ হিসেবে সীমন্ত বদলাননি। বরং আরও বড় হয়েছেন, আরও মানবিক হয়েছেন।