আর নয় ২০০৮, ২১ এর পুনরাবৃত্তি! চরম তৎপরতা প্রশাসনের, পূর্ব মেদিনীপুরে যা করছে প্রশাসন

Last Updated:
পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে প্রশাসনও আগে থেকেই সতর্ক। ২০০৮ ও ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ভগবানপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
1/6
টানা বর্ষণে কেলেঘাই নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পটাশপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। রাতে বিপদের আশঙ্কা আরও বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে প্রশাসনও আগে থেকেই সতর্ক। ২০০৮ ও ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ভগবানপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে নদীর পরিস্থিতির উপর কড়া নজর প্রশাসন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
টানা বর্ষণে কেলেঘাই নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পটাশপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। রাতে বিপদের আশঙ্কা আরও বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে প্রশাসনও আগে থেকেই সতর্ক। ২০০৮ ও ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ভগবানপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে নদীর পরিস্থিতির উপর কড়া নজর প্রশাসন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
টানা বর্ষণে কেলেঘাই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ৪.৫ মিটার ছুঁয়েছে। এতে তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে নদীর উপর পাতা মাছ ধরার জাল দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা রাত জেগে নদীর গতিবিধির উপর নজর রাখছেন।
টানা বর্ষণে কেলেঘাই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ৪.৫ মিটার ছুঁয়েছে। এতে তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে নদীর উপর পাতা মাছ ধরার জাল দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা রাত জেগে নদীর গতিবিধির উপর নজর রাখছেন।
advertisement
3/6
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। নদী সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বোল্ডার, পাথর ও মাটির বস্তা সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী আগে থেকেই মজুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রশাসন বলছে, মানুষের প্রাণ বাঁচানোই তাদের প্রথম লক্ষ্য।
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। নদী সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বোল্ডার, পাথর ও মাটির বস্তা সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী আগে থেকেই মজুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রশাসন বলছে, মানুষের প্রাণ বাঁচানোই তাদের প্রথম লক্ষ্য।
advertisement
4/6
২০০৮ ও ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পটাশপুর, ভগবানপুর ও এগরা সহ বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই প্রশাসন এ বছর আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। জলের চাপ সহ্য করতে না পারলে বাঁধ যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২০০৮ ও ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পটাশপুর, ভগবানপুর ও এগরা সহ বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই প্রশাসন এ বছর আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। জলের চাপ সহ্য করতে না পারলে বাঁধ যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
5/6
পটাশপুরবাসীর কাছে কেলেঘাই নদীকে দুঃখের নদী বলা হয়। সবং, ভগবানপুর ও পটাশপুরে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এই নদীর উপর। নদীপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বর্ষা এলে সেই নদীই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। পশ্চিমের বাগুই খাল পেরিয়ে পটাশপুরের একাধিক মৌজা অতিক্রম করে কেলেঘাইতে মিশেছে। শেষে ভগবানপুর ও সবং অতিক্রম করে নদী কংসাবতীতে গিয়ে মিশেছে।
পটাশপুরবাসীর কাছে কেলেঘাই নদীকে দুঃখের নদী বলা হয়। সবং, ভগবানপুর ও পটাশপুরে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এই নদীর উপর। নদীপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বর্ষা এলে সেই নদীই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। পশ্চিমের বাগুই খাল পেরিয়ে পটাশপুরের একাধিক মৌজা অতিক্রম করে কেলেঘাইতে মিশেছে। শেষে ভগবানপুর ও সবং অতিক্রম করে নদী কংসাবতীতে গিয়ে মিশেছে।
advertisement
6/6
পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শান্ত চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কেলেঘাই নদীর পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। নদীর উপর বসানো সব জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাঁধ মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইতিমধ্যেই মজুত রাখা হয়েছে। কোনও বিপদ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল নামানো হবে। আতঙ্কের কিছু নেই, প্রশাসন সর্বদা সতর্ক রয়েছে।”
পটাশপুর এক নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শান্ত চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কেলেঘাই নদীর পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। নদীর উপর বসানো সব জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাঁধ মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইতিমধ্যেই মজুত রাখা হয়েছে। কোনও বিপদ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল নামানো হবে। আতঙ্কের কিছু নেই, প্রশাসন সর্বদা সতর্ক রয়েছে।”
advertisement
advertisement
advertisement