জানা গেছে, গত ২৯ জুন তিনি একটি লটারির টিকিট কাটতে বলেন পরিবারের সদস্যদের। ওই সময় মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম কাজের সূত্রে ছিলেন ওড়িশায়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই তিনি এক পরিচিত লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০ টাকার একটি লটারি কাটেন পরিবারের সদস্যদের সাহায্য। ২৯ তারিখ রাতে ফলাফল বেরতেই বিক্রেতা তাঁকে ফোন করে বলেন ‘আপনি এক কোটি টাকার মালিক।’ এই খবরে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি শহিদুল। এরপর বিস্তারিত জেনে সঙ্গে সঙ্গেই ওড়িশার কাজ ছেড়ে ছুটে আসেন নিজের গ্রাম ডিহিগ্রামে।
advertisement
শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমেই অসুস্থ বাবা মহতাব শেখের উন্নত চিকিৎসা করাবেন। এরপর নিজের একটা পাকা ঘর বানিয়ে, ডিহিগ্রামে প্রায় জায়গা জমি কেনার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, এবার সংসারে একটু স্বস্তি আনতে চান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহিদুলের পরিবার জানিয়েছেন, “আমরা চাইব শহিদুল টাকা সৎ ব্যবহার করেন। ছেলের ঘর বাড়ি কিছুই নেই। এই টাকায় জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করুক।” যদিও শহিদুল জানিয়েছেন, “আমি লটারি কেটেছি। আমার স্বপ্ন ছিল একদিন প্রথম পুরস্কার পাব। এখন প্রথম পুরস্কার পেয়েছি। এক কোটি টাকার পুরস্কার মিলেছে। আগামী দিনে ঘর বাড়ি ঠিক করে, জমি জায়গা ক্রয় করে আগামী দিনে দুটো কন্যার বিবাহ দেব।”
কৌশিক অধিকারী