আর এই কয়েকদিন রাতের দিকে বেশি সময় ধরে মন্দির খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। ভিড় সামলাতে মন্দির কমিটিকে সহযোগিতা করছে পুলিশ প্রশাসন। রাত পোহালেই বড়দিনের ছুটি। মাঝে শুক্রবার অফিস ম্যানেজ করলে পরের দু’দিন শনি ও রবিবার। ছুটি পেয়েই ভ্রমণপিপাসু বাঙালি বেড়াতে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ সমুদ্র, কেউ পাহাড়ের টানে পছন্দের জায়গায় যাচ্ছেন। অনেকে মন্দিরে পুজো দিয়ে পুণ্যলাভের আশায় বেরিয়ে পড়ছেন। বোলপুর শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার প্রথম দিন বোলপুরের পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে।
advertisement
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর এইসময় মন্দির চত্বর ভিড়ে ঠাসা থাকে। শান্তিনিকেতন মেলা হওয়ায় ভিড় অনেকে বেড়েছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলার অনেক আগেই থেকেই কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দেবী দর্শনে পর্যটকদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। হোটেল ব্যবসায়ী পুলক চট্টোপাধ্যায় জানান, চলতি বছর ২৩ডিসেম্বর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু হয়। শান্তিনিকেতন পৌষমেলা চলার কারণেও তারাপীঠে পর্যটক বাড়ে। বহু পর্যটক সেখানকার মেলা দেখে তারাপীঠ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এদিন ভোররাত থেকেই বহু পর্যটক মায়ের দর্শন পেতে লাইন দেন।
হুগলি থেকে আগত পর্যটক সুস্মিতা বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতি বছর এই সময় পৌষমেলা দেখতে আসি পরিবারের সঙ্গে। মেলা দেখে তারাপীঠে এসে মায়ের কাছে পুজো দিই। এখানে এসে হোটেলে থাকি। বোলপুরের থেকে কম টাকায় এখানে থাকা যায়।’ সব মিলিয়ে বছরের শেষ দিকে বোলপুর শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরে পর্যটকদের ঢল।






