বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন লোকনাথের সমবয়সী, মাত্র ১২ বছর বয়সে লোকনাথ ব্রহ্মচারী এবং বেণীমাধব বন্দোপাধ্যায় ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে দীক্ষা লাভ করেন এবং দু’জনেই কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। লোকনাথ ব্রহ্মচারী যখন যেখানেই গেছেন ছায়া সঙ্গীর মতো বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে থেকেছেন। বেণীমাধবের বাড়িটি সেভাবে সংস্কার করা হয়নি হয়ত, মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রাচীনকালের বাড়ির রূপটিকে ধরে রাখতে চেয়েছেন। লোকনাথের মতো এত জনপ্রিয়তা হয়ত বেণীমাধব পাননি, তবে অনেকেই লোকনাথের মন্দিরে এলে এই বাড়িতে আজও দেখতে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁশের জিনিস বানিয়েই দিন কাটে মহিলার! পঞ্চায়েত সহ-সভাপতি তিনি! এত সাদা-মাটা জীবন! চমকে যাবেন
আরও পড়ুন:
বর্তমানকালে গ্রামের দিকেও আর সেভাবে কাঁচা বাড়ি দেখা যায় না কিন্তু বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আজও সেই মাটি দিয়ে তৈরি আছে, দেখলেই যেন একটা মাটির ছোঁয়া পাওয়া যায়। আপনারা ইচ্ছে করলে চলে আসতে পারেন বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মাটির বাড়িতে। কলকাতা থেকে ট্রেনে শিয়ালদা স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে কাঁকড়া মির্জানগর স্টেশনে নেমে অটো কিংবা টোটোতে মাত্র ৫ মিনিটে পৌঁছে যাবেন বেণীমাধবের এই বাড়িতে। আর এই বাড়ির সামনে একটি লাল বেদি তৈরি করা আছে যা এদের স্মরণে করা হয়েছে। বাড়ির সামনে একটি বড় পুকুর আর সেই পুকুরের পাশে একটি বড় অশ্বথ গাছ। গাছের নিচে লোকনাথ ব্রহ্মচারী এবং বেণীমাধব একসঙ্গে খেলা করতেন।
জুলফিকার মোল্যা