শনিবার সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকার বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচার শুরু করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার সেরে দুপুরের আহারের জন্য যারা আসেন সিঙ্গুর গ্রামের এক বাসিন্দা মানিক বাগের বাড়িতে। মানিক বাগ পেশায় একজন শ্রমিক তার বাড়িতে বসে বাঙালি আহার সরেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ প্রকৃতির কোলে অন্যরকম বসন্ত উৎসব, পুরুলিয়া গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এখানে, মুগ্ধতা ঘিরে ধরবে
advertisement
এ দিন দুপুরের খাবারের মেনু ছিল, মাটির থালায় উপর কলাপাতা, তাতে সাদা ভাত, সাথে বড়ি ভাড়া, বেগুন ভাজা,আলু ভাজা, পটল ভাজা, স্যালাড, পোস্তর বড়া। সেই সঙ্গে সবজি ডাল, শুক্তো,আলু পোস্ত, চাটনি। সবশেষে তৃপ্তি ভোরে খেলেন টক দই। খাওয়া শেষে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মাটির বাড়িতে বসে কোনওদিনও খাইনি। খুব ভাল আপ্যায়ন করে খাইয়েছে। খুব তৃপ্তি করে খেলাম। সজনে ডাটা, বড়ি ভাজা, লঙ্কা আমার খুব প্রিয় তাই চেয়ে খেয়েছি। টক দই তো অসাধারণ। এখানকার দই দারুন। এ পাশে এলে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে যাব।
খাওয়া দাওয়া সেরে ইমোশনাল হয়ে পড়েন মানিক বাগদের অবস্থা দেখে। তার মাটির বাড়ি যাতে পরবর্তীতে পাকা বাড়ি হয় যাতে তারা আবাস যোজনা টাকা পায় সেই নিয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। একই সঙ্গে তিনি ভুয়সী প্রশংসা করেন সিঙ্গুরের দইয়ের। তিনি এটাও বলেন ব্যাগে করে তিনি বেশি বেশি এখান থেকে দই কিনে নিয়ে যাবেন।
ভাল দই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিঙ্গুরের মাটি এতটাই উর্বর সেখানে গাছপালা ঘাস অনেক জন্মায় এবং গরু তা খেয়ে ভাল দুধ দেয় সেই ভাল দুধ থেকেই ভাল দই তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তিনি যতবার আসবেন ততবার তিনি এখান থেকে দই কিনে নিয়ে যাবেন।
রাহী হালদার