বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা দাঁতন। এখানকার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন। দাঁতনে রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারি বৌদ্ধবিহার, রয়েছে প্রাচীনতম শ্যামলেশ্বর মন্দির, রয়েছে দাঁতনের প্রাচীন মুনসেফ কোর্ট সহ নানান প্রাচীন স্থাপত্য। কিন্তু ক্রমে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হচ্ছে। বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকা পর্যটন মানচিত্রে এক অন্যতম দিশা, লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত দাঁতনকে আনতে হবে পর্যটন মানচিত্রে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের শুধু নয়, ভারতবর্ষের পর্যটনে নতুন দিশা দেখাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম
পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় রয়েছে দাঁতন। দাঁতন শুধু একটি প্রান্তিক এলাকার শহর নয়, বিখ্যাত প্রাচীন ইতিহাস কেন্দ্র হিসেবেও। রয়েছে বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো ঐতিহাসিক মোগলমারী বৌদ্ধবিহার। তার পাশেই অবস্থিত প্রাচীন রাজবাড়ি। রয়েছে মানব সৃষ্ট বিশালাকার শরশঙ্কা দিঘি। স্বাভাবিকভাবে পর্যটনের এক নতুন ডেস্টিনেশন হওয়ার যাবতীয় উপাদান নিয়ে অবস্থান করছে দাঁতন।
বেশ কয়েকবার দাঁতনকে কেন্দ্র করে সার্কিট টুরিজমের চিন্তা ভাবনা নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীদের দাবি দাঁতনকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে হবে পর্যটনের নতুন ক্ষেত্র। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন জানতে পারবেন দাঁতনের ইতিহাস। শুধু তাই নয়, বাড়বে কর্মসংস্থানও। প্রসঙ্গত বছরখানেক আগেই এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের টুরিস্ট গাইডের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাকি পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় বিশেষ একটা লাভ হয়নি।
রঞ্জন চন্দ