স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি গঙ্গায় স্নান করতে ভয় পাচ্ছেন তীর্থভূমিতে আসা অসংখ্য পূর্নার্থী, এরপর বন দফতরে খবর দেওয়া হলে দুপুরের পর দুই কর্মী প্রতিটি ঘাটে এসে সন্ধান চালাতে শুরু করে। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরে রানীরচড়া গঙ্গার ঘাটের কাছে এবং রানীর ঘাটের মাঝামাঝি জায়গায় স্থানীয় দুই মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়ে একটি কুমির দেখতে পান বলে তারা জানান।
advertisement
এরপর মহিশুরা পঞ্চায়েতের মাঝেরচড়া গ্রামে ভাগীরথী নদীতে আবারও একটি কুমির দেখা যায়, সেক্ষেত্রে খবর পেয়ে কৃষ্ণনগর থেকে বন দফতরের কর্মীরা এসে খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছিলেন, যদিও সেসময় কুমিরটির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তারা খোঁজ তল্লাশি চালাবে বলেই জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা এবং ঘাট পারাপার হওয়া যাত্রীরা রয়েছেন যথেষ্ট আতঙ্কে।
প্রসঙ্গত, জেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে এর আগেও একাধিকবার গঙ্গায় অবাধে কুমিরের বিচরণের অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা গঙ্গার একাধিক জায়গায় কুমিরকে সাঁতার কাটতে দেখতে পান। এবং সেই সমস্ত দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে বন দফতরের আধিকারিকদের দেখানো হয়। তবে এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের তেমন কোনও ক্ষতি না হলেও যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা। নদীতে স্নান করা থেকে শুরু করে মাছ ধরতে যাওয়া কুমিরের কারণে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে তাদের বলে জানান।
Mainak Debnath