আরও পড়ুন: দেউলা স্টেশনে গলায় মালা পরে হাঁটছে কারা! দেখতে ভিড় স্থানীয়দের
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সেখানে মহিলা সমিতির দুর্গাপুজো এবং এলাকাবাসীদের রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তা নিয়ে অবশ্য আপত্তির কোনও কিছু নেই। কিন্তু হাজারো ভক্তের প্রশ্ন শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি হোক অথবা মা সারদার জন্ম তিথি কিংবা স্বামীজীর এ সমস্ত পালনীয় দিন কিছুই লক্ষ্য করা যায় না এখানে।
advertisement
রামকৃষ্ণ সংঘের মাঠের অপরপ্রান্তে বসবাসকারী প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং এই মঠের সঙ্গে একসময় যুক্ত থাকা অরবিন্দ মৈত্র যথেষ্ট আক্ষেপ প্রকাশ করেন বর্তমান অবস্থা নিয়ে। বর্তমান কাউন্সিলর এবং বিধায়ক সহ সমস্ত পদাধিকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, মাঠ এবং মন্দির প্রায় বেদখল হতে বসেছে। পাড়ার পুজো হোক, তবে সারদা মা, রামকৃষ্ণ দেব কিংবা স্বামীজীর যে সমস্ত অনুষ্ঠান পূর্বে হত তা আবারও ফিরে আসুক।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
স্থানীয় বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান, একজন বিধায়ক হিসেবে সমস্ত দিক থেকেই তাঁর সহযোগিতা থাকবে। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন নিজেদের জায়গা উদ্ধারে তৎপর হচ্ছেন না তা তাঁর জানা নেই বলে জানান। বাগআঁচড়া রামকৃষ্ণ মঠের বর্তমান মহারাজ, আগের মহারাজ এমনকি বেলুড় মঠ পর্যন্ত আমরা খোঁজ খবর নিয়েছিলাম। তবে সব ক্ষেত্রেই একই উত্তর এসেছে। স্থানীয় ভক্তরাই পারে একত্রিত হয়ে জায়গা উদ্ধার করতে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বেদখল হয়ে যাওয়া মঠ, মন্দিরের আইনি সমস্যায় ব্যস্ত থাকতে হয় বছরের বেশিরভাগ সময়। তার মধ্যে আবার নতুন করে দৌড়ঝাঁপে সময় মিলবে না আপাতত।
মৈনাক দেবনাথ