গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে হাড়োয়ার জনজীবন। দিনের বেলায় উত্তপ্ত বাতাস আর রাতের বেলায় বিদ্যুৎহীন ঘর—এই দুইয়ের মাঝে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ মানুষজন চরম বিপাকে। কেউ ফ্যানের বাতাস পাচ্ছেন না, কেউ পানীয় জল তুলতে পারছেন না। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুধু গৃহস্থালি নয়, প্রভাব ফেলছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্ভর দোকানদাররা দিনের পর দিন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। হাড়োয়ার এক মোবাইল সারাই দোকানদার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে চার্জার চলে না, কিচ্ছু করা যায় না। শুধু দোকান খুলে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই।” অন্যদিকে, বহু ছাত্রছাত্রী আজকাল অনলাইন বা কম্পিউটার নির্ভর পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ না থাকায় তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিস্থিতি এক বছরের নয়—বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। সমস্যা জানানোর জন্য একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
এক বাসিন্দা বলেন, বর্ষার সময় এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরও ঘন ঘন ঘটে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। সেই সঙ্গে দেখা দেয় জল জমে যাওয়া, জলপথে চলাচলের সমস্যা—সব মিলিয়ে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। হাড়োয়ার মানুষের একটাই সুর-অস্থায়ী মেরামতি নয়, চাই স্থায়ী ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ দফতরের প্রতি আস্থা হারাতে বসেছেন অনেকেই। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনেরও হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা।
জুলফিকার মোল্যা