ভাষাতত্ত্ব ও ভারতীয় আর্য ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের গভীর গবেষণা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল। ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’, ‘ভারতীয় ভাষাসমূহের উৎপত্তি ও বিকাশ’, ‘ইন্দো-আর্য ভাষা ও সংস্কৃতি’ সহ একাধিক গবেষণাগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সুদৃঢ় করেন। সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশের ধারাবাহিকতায় কীভাবে বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটেছে, তা তিনি তথ্য-নির্ভর বিশ্লেষণের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুনীতিকুমার কেবল ভাষাবিদই নন, ছিলেন একজন সংস্কৃতিবিদও। লোকসংস্কৃতি, জাতিসত্ত্বা, ঐতিহ্য ও ভাষার পারস্পরিক সম্পর্ক তিনি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে, ভাষাই একটি জাতির সংস্কৃতির প্রধান বাহন- এই চিন্তাভাবনাই আজও আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যখন মাতৃভাষার ব্যবহার ও চর্চা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন সুনীতিকুমারের চিন্তাধারা নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলা ভাষার স্বকীয়তা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার প্রশ্নে তাঁর লেখাগুলি আজও প্রাসঙ্গিক বলে মত ভাষাবিদদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমগ্রভাবে বলা যায়, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির শিকড় সন্ধানে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অবদান সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে আজও চিন্তা-চেতনায় অমূল্য হয়ে রয়েছে। হাওড়া শিবপুরে ‘প্রবোধ ভবন’ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে। এই বাড়ি সংলগ্ন রাস্তাটির নাম ‘ভাষাচার্য্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ রাখা হলে আরও বেশি তাঁকে স্মরণ করা যাবে বলেই জানান পরিবারের সদস্য সৌভিক মুখোপাধ্যায়।





