আরও পড়ুন: খেলতে খেলতে স্কুলের তিনতলা থেকে নিচে এসে পড়ল ছাত্রী! ভঙ্কর কাণ্ড
পুরুলিয়া বন বিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের ঝাড়খন্ড লাগোয়া সিমনি গ্রাম। সম্প্রতি সেখানেই গৃহস্থের বাড়ির ভেতরে ঢুকে গৃহপালিত পশু টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি চিতাবাঘ। তাতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এমনিতে সিমনি বিটের জঙ্গলে বহুকাল থেকেই চিতাবাঘ আছে। কিন্তু তারা এর আগে সেভাবে মানুষের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েনি। কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রবণতা দেখা দেওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী।
advertisement
জঙ্গলের ভিতরে যাওয়া গবাদি পশুরা চিতা বাঘের হামলার শিকার হয়েছে বহুবার। কিন্তু বাড়ির ভিতরে ঢুকে চিতাবাঘের এই হামলা সকলের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, বন দফতর বিশেষ ব্যবস্থা করুক। না হলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি জঙ্গলে বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় প্রথমবার চিতাবাঘ ধরা পড়ে। ওই বছরের ২৭ জুন মধ্যরাতে চিতাবাঘের ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়। তার একদিন পর অর্থাৎ ২৯ জুন ভোরবেলায় আরেকটি চিতাবাঘের ছবি ওই ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এরপরই বন দফরের বুঝতে পারে সিমনির জঙ্গলে একটি নয়, জোড়া চিতাবাঘ আছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বন দফতরের কাছে খবর আসে ওই জঙ্গলে চিতাবাঘ শাবকের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বন দফরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে ওই শাবকের ছবি। আর তাতেই তখন থেকেই একটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে। গত দুর্গাপুজোর আগে শোনা যায় ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে একাধিক গবাদি পশুকে মারছে চিতাবাঘ। এছাড়াও সিমনি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাই স্কুলের সামনে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। এরপরই টনক নড়ে বন দফতরের। তারপর সোজা বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ায় সেই আতঙ্ক বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি