কখনও ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে ঝাড়গ্রামে ঢুকে পড়ছে বাঘিনী জিনাত। জিনাতের পিছু ধরে ঝাড়খন্ড থেকেও ঢুকে পড়ছে বাঘ। অতিতেও দেখা গিয়েছে লালগড়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘ। সেই বাঘ দীর্ঘদিন ছিল লালগড় এলাকাতে। ফলে কোনওমতেই অস্বীকার করা যাবে না জঙ্গলমহলে নতুন করে গড়ে উঠছে বাঘের করিডোর।
আরও পড়ুন- ট্রেক করে পাহাড়ের শিখরে পৌঁছনোর ইচ্ছে! জানুন ছোট্ট কিছু নিয়ম, কমবে জীবনের ঝুঁকি
advertisement
সবুজ শাল জঙ্গলের মধ্যেই বাঘের প্রজননের সেরা জায়গা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ জঙ্গলমহল জুলেজিক্যাল পার্কে একটি পুরুষ চিতা বাঘ নিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘটিকে নিয়ে আসা হলে তা দেখার জন্য যেমন পর্যটকের ভিড় বাড়বে, ঠিক তেমন চিড়িয়াখানায় থাকা দু’টি স্ত্রী চিতাবাঘের সঙ্গে মিলনের মাধ্যমে সংখা বাড়বে বাঘের।
জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে এখন তিনটি চিতাবাঘ করেছে। একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ ও পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পথে একটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ চিতাবাঘ রয়েছে। পুরুষ চিতা বাঘের ঘাটতি পূরণের জন্যই উত্তরবঙ্গ থেকে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসতে চলেছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক অথরিটি।
আরও পড়ুন- হঠাৎ চিৎকার করে ডাকতে থাকে হাতি! গোটা গ্রামে চলল তাণ্ডব
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে উত্তরবঙ্গ থেকে হর্ষিণী ও সোহেল নামের একটি স্ত্রী ও পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল।
২০২০ সালে প্রথম দুটি সন্তান প্রসব করলে দুটি সন্তানকে খেয়ে ফেলে বাঘিনী। তার কয়েক মাসের পরে ফের দু’টি সন্তান প্রসব করে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আরও তিনটি সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। চিড়িয়াখানার ইনক্লুজারে চিতাবাঘের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৭।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সোহেল ও তার দুই পুরুষ সন্তান-সহ ৩টি পুরুষ চিতাবাঘকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল হর্ষিণী ও তার তিন সন্তানকে। গলায় মাংসের হাড় আটকে গিয়ে একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। এখন হর্ষিণী-সহ চিড়িয়াখানায় একটি পুরুষ শাবক ও একটি স্ত্রী শাবক রয়েছে।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও ওমর ইমাম বলেন, “এখানে চিতাবাঘের ভাল প্রজনন হয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসতে চলেছি। চিড়িয়াখানার ইনক্লুজারে থাকা পুরুষ চিতা বাকি এখনও শাবক রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হলে ইনক্লুজারে থাকা দু’টি স্ত্রী চিতাবাঘের সঙ্গে মিলনের ফলে চিতাবাঘের সংখ্যা বাড়বে চিড়িয়াখানায়”।
বুদ্ধদেব বেরা