একটানা ৬-৭ দিন ধরে চলে এই থিমের পুজো। প্রতিদিনই হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,এমনকি বসে গ্রামীণ মেলাও,করা হয় অন্নকূটের আয়োজন। প্রতিবছরই নানান পৌরাণিক কাহিনী নিয়ে গড়ে ওঠে থিম। তা বাজার বারোয়ারী লক্ষ্মীপুজো কমিটির এবছরের থিম “দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ”। পাশা খেলায় ছলের পান্ডবদের পরাজিত করে দুর্যোধন ও দুঃশাসনরা যখন ধৃতরাষ্ট্র ও মামা শকুনির উপস্থিতিতে পান্ডব পত্নী দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে উদ্যত, তখন শ্রীকৃষ্ণরূপী নারায়ন দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বিষ্ণুর অবতার, তাও চোরাচালানকারীদের শিকার! দুর্গাপরের মৎস্যজীবী গাঁটের কড়ি খরচ করে যা করছেন, দেখে অবাক হবেন
সেই দৃশ্যই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে থিমের আদলে। পুজোর বাজেট প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আজ থেকে প্রায় ৫২ বছর আগে মুড়ি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধির কামনায় প্রথমে পরিবারগুলি একত্রিত হয়ে এই বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজো শুরু করলেও, বর্তমানে প্রায় ৪০ টি পরিবার যুক্ত রয়েছেন এই পুজোর সঙ্গে। মেশিন মুড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নবীন প্রজন্মের অনেকেই রুটি-রুজির তাগিদে অন্য পেশায় যুক্ত হলেও, আজও নিয়ম করে প্রবীণরা চাহিদা অনুযায়ী হাতে ভাজা মুড়ি সরবরাহ করেন জেলার নানান প্রান্তে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে লক্ষ্মীপুজোর দিনগুলিতে মুড়ি ভাজা বন্ধ থাকে। আত্মীয় স্বজনদের সমাগমে এই কটা দিন সকলেই মেতে উঠেন পুজোর আনন্দে, নবীন প্রজন্মের যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরাও পুজো উপলক্ষে ফিরে আসেন বাড়িতে। আর থিমের এই লক্ষ্মীপুজো দেখতে ভিড় জমান দূরদুরান্তের দর্শনার্থীরা। জীবনের স্রোতে অনেকেই পেশা বদলালেও, আজ থেকে ৫২ বছর আগের মুড়ি ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি কামনায় শুরু হওয়া সেই সংকল্পে আজও কোনো ছেদ পড়েনি। ধুমধাম এর সঙ্গে পালন করা হয় লক্ষ্মী পুজো।