মঙ্গলবার হলদিয়া তেল শোধনাগারের msq ইউনিট আচমকা আগুনের গ্রাসে চলে যায়। মৃত্যু হয় তিন শ্রমিকের। আহত হন বহু শ্রমিক। প্রতি বছরই শাটডাউন করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। আর সেই সময়েই বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড। ঘটনায় মৃত্যু ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হন শ্রমিকরা। হলদিয়ার আইওসি কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি দীর্ঘ বৈঠক করেন। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল।
advertisement
শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির বিষয়ে হলদিয়া রিফাইনারি কর্তৃপক্ষ যেন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয় সেই বিষয়টিও দুই মন্ত্রীর তরফে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়। তবে সুরক্ষা ব্যবস্থায় গলদ ছিল বলেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে শ্রমিকদের একাংশ থেকে প্রত্যেকেই সরব হন। যদিও আইওসি কর্তৃপক্ষ সুরক্ষা ব্যবস্থায় কোনও গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি।
আরও পড়ুন: কলকাতার ফলের পরই কেন অমিত শাহের কাছে রাজ্যপাল? হতাশা আর ব্যর্থতা খুঁজছে তৃণমূল!
তাদের বক্তব্য, ঘটনার নেপথ্যে আসল কারণ কী তার সঠিক অনুসন্ধানে দিল্লি থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছে আইওসি কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ''গাফিলতি তো নিশ্চয়ই ছিল। তেল কোম্পানির নিজস্ব হাসপাতাল থাকলেও সেখানে কোনও বার্ন ইউনিট না থাকাটাই তো আশ্চর্যের বিষয়।'' স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজগর আলির কথায়, ''স্থানীয় অনেক শ্রমিকই দক্ষ। অথচ ঠিকাদারি সংস্থা কম পয়সায় ভিন রাজ্য থেকে সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে এই রিফাইনারিতে শ্রমিকদের কাজ দিচ্ছে।'' রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''কর্মী শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে আপতকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় স্তরে একটি আধুনিক হাসপাতাল তৈরীর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি রাজ্য সরকারের উদাসীনতাতেই। আমরা মৃত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে আছি।''