অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতে তারাপীঠের মহাশ্মশানে সাধনা করতে আসেন বহু তন্ত্রসাধক। মহাশ্মশানে জ্বলে ওঠে হাজার হাজার হোমকুণ্ড। কেমন চলছে এই বছরের কৌশিকী অমাবস্যার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি?
আরও পড়ুনঃ চায়ের দোকানে ঢুকল সবজি বোঝাই গাড়ি! গুরুতর আহত একাধিক, ভাঙল বিদ্যুতের পোস্ট
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, এই বছর প্রায় ৪-৫ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী তারাপীঠ মন্দিরে আসবেন। সেই উপলক্ষে সেজে উঠছে তারাপীঠ। এখানে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে মা তারার পুজো দিতে পারেন তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ ও তারাপীঠ মন্দির কমিটি৷
advertisement
তারাপীঠ এলাকা জুড়ে পর্যটকদের জন্য কেমন ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এবং তারাপীঠ মন্দির কমিটি? এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে, তারাপীঠ মন্দিরের প্রবেশপথগুলিতে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর গেট। মন্দির এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে ১৫০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী বাঁশের ব্যারিকেড। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ২০০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা এড়াতে রাজ্য পুলিশের ৫০০ জন আধিকারিক সহ ১৫০০ জন পুলিশকর্মী এবং ২০০০ জন সিভিক কর্মী নিযুক্ত থাকবেন। পুলিশের নজরদারির জন্য ১২টি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৪০টি ড্রপগেট করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই তারাপীঠের হোটেল ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের থেকে যাতে অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া না নেওয়া হয়, তার জন্য হোটেল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি তারাপীঠের অলিগলিতে যাতে দমকল বাহিনীর গাড়ি যাতায়াত করতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতকিছুর পরেও যদি হোটেল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে থাকে, তাহলে তৎক্ষণাৎ গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অথবা ক্যাম্পে জানান। প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।