অন্যদিকে ‘আদি যোগী’ থিমে এবার সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপকেও। বর্তমান সময়ে পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্বকে মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ পুজো কমিটির। এই অভিনব ভাবনা ইতিমধ্যেই মুগ্ধ করেছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের। এই পুজোর আরও একটি অন্যতম আকর্ষণ হল ‘মিলন মেলা।’ পুজোকে ঘিরে এক সপ্তাহ ব্যাপী চলে এই মিলন মেলা। যে মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি হস্তশিল্প, খাদ্যপণ্যের স্টল ও নানা বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
advertisement
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য চঞ্চল হালদার জানান, “এবারের পুজোয় মোট বাজেট প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই বাজেটের মধ্যেই মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণ, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো কমিটির সদস্য শ্রীকান্ত দে বলেন, “১৯৯৭ সালে আমরা গ্রামের তিনজন যুবক মিলে এই লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করি। সেই সময় গ্রামে কোনও বড় উৎসব হত না। যদিও একটি দুর্গাপুজো ছিল, সেটি ছিল একটি পরিবারের নিজস্ব আয়োজন, যার ফলে গ্রামের অন্য বাসিন্দারা সেই উৎসবে পুরোপুরি অংশগ্রহণ করতে পারতেন না। তখনই আমাদের মনে হয়, এমন একটি উৎসবের আয়োজন করা উচিত, যেখানে সমগ্র গ্রামবাসী মিলিতভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় আমাদের এই লক্ষ্মীপুজো। আজ সেই ছোট্ট উদ্যোগই গ্রামের সকলের সহযোগিতায় এক বৃহৎ আকার নিয়েছে এবং এটি আমাদের গর্বের বিষয়।” গৌরাঙডি সার্বজনীন লক্ষ্মীপুজো এবার শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক মিলনের এক অনন্য উদাহরণ।