গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের রহস্য় মৃত্য়ু হয়। সেই মামলার তদন্তেই আদালতের নির্দেশে সোমবার বগটুই গ্রামে গিয়ে লালন শেখের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি-র ডিআইজি সোমা দাস মিত্র। তাঁর সামনেই এই অভিযোগ করেন লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি।
লালন শেখের মৃত্য়ুর পরই সিআইডি-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রেশমা বিবি। সোমবার সিআইডি কর্তার সামনে আরও চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ করলেন মৃত লালন শেখের স্ত্রী।
advertisement
যে দিন লালন শেখের মৃত্য়ু হয়, সেদিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর দুপুরেই লালন শেখকে নিয়ে বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। লালন শেখের স্ত্রী এবং পরিবারের অভিযোগ, সেদিন তাঁদের সামনেই মারধর করা হয় লালনকে। এমন কি, লালনকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল তাঁর পরিবারের।
আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমে আজ শুভেন্দু! নলহাটিতে বড় এই কর্মসূচি বিজেপির
সোমবার সিআইডি ডিআইজি-র সামনেও রেশমা বিবি অভিযোগ করে বলেন, 'আমার স্বামীকে ওরা (সিবিআই) সেদিন হাতকড়াও পরায়নি। ওকে চন্দ্রকুণ্ঠর মাঠে নিয়ে গিয়ে বলে, যা পালা। পালাতে গেলেই ওকে গুলি করত। কিন্তু আমার স্বামী রাজি হয়নি। তাই ওকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলল।'
সোমবার বগটুই গ্রামে যাওয়ার পাশাপাশি রামপুরহাটে সিবিআই-এর যে অস্থায়ী ক্য়াম্প অফিস থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেও যান সিআইডি-র ডিআইজি। ঘটনার দিন লালন শেখের দেহ উদ্ধারের সময় যে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ শুরু TET ইন্টারভিউ! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ 'বদল' আনল পর্ষদ, অবশ্যই জেনে নিন!
লালন শেখের মৃত্য়ুর পরই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে। যদিও তাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। হাইকোর্ট অবশ্য় জানিয়ে দেয়, সিআইডি মামলার তদন্ত চালিয়ে গেলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। সম্প্রতি সিআইডি-র তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশেই সোমবার বগটুই গ্রামে যান সিআইডি-র শীর্ষ কর্তা।
যদিও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রকাশ্য়ে কিছু বলতে চাননি সিআইডি-র ডিআইজি। তিনি শুধু বলেন, 'সবে তদন্ত শুরু করেছি। কাজ করতে দিন। সময় মতো সব কিছুই জানানো হবে।'