লক্ষ্মী ও সরস্বতীর দু’পাশে চার জন সখী থাকেন। তাঁদের ‘লুক-লুকানি’ বলা হয়। আয়োজকদের দাবি, নারায়ণের গোটা পরিবারকেই এখানে পুজো করা হয়। এমন লক্ষ্মী পুজোর বেশ কদর রয়েছে জেলা জুড়ে। প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড়, এরই মাঝে এ-কী হল দক্ষিণবঙ্গে! আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
advertisement
ঝাড়গ্রামের বিনপুর দুই ব্লকের হাড়দা গ্রামে এই লক্ষ্মী পুজো ১৬৩ বছর ধরে হয়ে আসছে। দেবী সরস্বতীর পরনে সাদা শাড়ি এবং দেবী লক্ষ্মীর পরণে হালকা গোলাপী রঙের শাড়ি। পুজোর ঘট উত্তোলনের সময়ে প্রতি বছর বিশেষ আতসবাজি প্রদর্শনেরও ব্যবস্থা করে হাড়দার লক্ষ্মী পুজো কমিটি। গত কয়েক বছর সেই প্রথায় সামান্য পরিবর্তন করে পরিবেশবান্ধব আতসবাজির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বছর পুজোর বাজেট প্রায় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এখানকার প্রধান আকর্ষণ সবুজ আতশবাজি, যা দেখতে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয় বলে জানান পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য ভুবন মণ্ডল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত পরিবারের সদস্যরা একজোট হন। এখানে লক্ষ্মীপুজো এক দিনের নয়, টানা পাঁচ দিন ধরে হয়। সাত দিন ধরে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজো কমিটির সম্পাদক তারাপদ সাহার বলেন, ‘দেবী লক্ষ্মী পার্থিব-অপার্থিব সম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। এখানে বিষ্ণুপুরাণ মতে নারায়ণের দুই স্ত্রী- লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তাই একজনকে ছেড়ে অন্য জনের পুজো কীভাবে করতে পারি? সে জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষদের শুরু করা লক্ষ্মী-সরস্বতী পুজো আজও একসঙ্গে করে চলেছি।’
সাহা, মণ্ডলদের পারিবারিক পুজোই এখন সর্বজনীন পুজোর আকার নিয়েছে। এখানে স্থায়ী লক্ষ্মী মন্দির তৈরি হয়েছে। আশ্বিনের কোজাগরী পূর্ণিমাকে ঘিরে হাড়দা গ্রামে পুজো-উৎসব চলে। প্রতিপদের ভোরে পুজো শেষ হয়। কৃষ্ণ তৃতীয়ায় ঘট বিসর্জন হয়। কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তার পর কাঠামো তুলে রাখা হয়। প্রতি বছর একই কাঠামোয় প্রতিমা গড়া হয়।