মহেশতলা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাগমা বেগম। তাঁর অভিযোগ দু’বছর আগে তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই এখনও পর্যন্ত ঢুকছে না। পুরসভায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁরই আধার কার্ডের ভিত্তিতে প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট সময় লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এ ব্যাপারে তাঁকে নির্দিষ্ট প্রমাণও দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় ধানের চারা রোপণেও সুরাহা অধরা! ৩০ বছরের যন্ত্রণার মূলে কী জানেন? জানলে ধিক্কার জানাবেন
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ওই মহিলাই নন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না বলে অনেক উপভোক্তারই অভিযোগ। এদিকে আশ্চর্যের বিষয়, ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই মহিলা জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই ঢোকেনি। অভিযোগকারী মহিলা মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাইবার ক্রাইম শাখায় বিষয়টি জানান। সেখানে তাঁকে বলা হয় তাঁর ওই টাকা মুর্শিদাবাদের কোনও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। তখনই প্রতারণা চক্রের বিষয়টি সামনে আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উপভোক্তা ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির রিষড়ার ও মুর্শিদাবাদের দু’টি ব্যাঙ্কে এভাবেই এই প্রকল্পের টাকা প্রকৃত উপভোক্তার পরিবর্তে অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। তিনি চান এই প্রতারণা চক্রের জাল অবিলম্বে কেটে ফেলে আসল উপভোক্তাদের হাতেই যাতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পৌঁছায় তার ব্যবস্থা করা।