রাস্তায় ধানের চারা রোপণেও সুরাহা অধরা! ৩০ বছরের যন্ত্রণার মূলে কী জানেন? জানলে ধিক্কার জানাবেন

Last Updated:
বর্ষাকালে ছ’মাস বন্ধ রাস্তা, বিপাকে পড়ুয়ারা। পশ্চিম মল্লিকপাড়া হাইস্কুলে পড়তে যাওয়া বহু ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে হাঁটেন প্রতিদিন।
1/5
বুড়ো ধানের চারা হাতে পথে প্রতিবাদ গ্রামবাসী! ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে অবহেলিত একটি রাস্তা, আর তারই প্রতিবাদে অভিনব পথ বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির মল্লিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। কাদায় মাখামাখি রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তারা। ভোট আসে, যায়, কিন্তু রাস্তা থেকে কাদা সরে না—এই বার্তা স্পষ্ট তাঁদের প্রতিবাদে। রাস্তাটি ব্যবহার করেই যেতে হয় স্কুল, বাজার, হাসপাতাল—তবুও নেই কোনও উন্নয়নের ছোঁয়া। দেখে মনে হয়, যেন এ পথ কোনও সরকারি খতিয়ানেই নেই।
বোরো ধানের চারা হাতে পথে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে অবহেলিত একটি রাস্তা। আর তারই প্রতিবাদে অভিনব পথ বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির মল্লিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। কাদায় মাখামাখি রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। ভোট আসে, যায়, কিন্তু রাস্তা থেকে কাদা যায় না— এই বার্তা স্পষ্ট তাঁদের প্রতিবাদে। রাস্তাটি ব্যবহার করেই যেতে হয় স্কুল, বাজার, হাসপাতাল। তবুও নেই কোনও উন্নয়নের ছোঁয়া। দেখে মনে হয়, যেন এ পথ কোনও সরকারি খতিয়ানেই নেই। (ছবি ও তথ্য : সুরজিৎ দে)
advertisement
2/5
বর্ষাকালে ছ’মাস বন্ধ রাস্তা, বিপাকে পড়ুয়ারা। পশ্চিম মল্লিকপাড়া হাইস্কুলে পড়তে যাওয়া বহু ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে হাঁটেন প্রতিদিন। কিন্তু বর্ষাকালে রাস্তাটি হয়ে যায় একেবারে অচল — কাদা, জল আর পিচ্ছিল মাটি ঘিরে ফেলে পথ। ফলে ঘুর পথে যেতে হয় অনেকটা, সময়ও লাগে অনেক বেশি। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, পরীক্ষার সময় এমন পরিস্থিতি আরও অসহ্য হয়ে ওঠে।
বর্ষাকালে ছ’মাস বন্ধ রাস্তা, বিপাকে পড়ুয়ারা। পশ্চিম মল্লিকপাড়া হাইস্কুলে পড়তে যাওয়া বহু ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে হাঁটেন প্রতিদিন। কিন্তু বর্ষাকালে রাস্তাটি হয়ে যায় একেবারে অচল — কাদা, জল আর পিচ্ছিল মাটি ঘিরে ফেলে পথ। ফলে ঘুর পথে যেতে হয় অনেকটা, সময়ও লাগে অনেক বেশি। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, পরীক্ষার সময় এমন পরিস্থিতি আরও অসহ্য হয়ে ওঠে।
advertisement
3/5
দলীয় রাজনীতির বলি সাধারণ মানুষ? স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এলাকায় বিজেপির পঞ্চায়েত থাকলেও পঞ্চায়েত অফিস তৃণমূল পরিচালিত—ফলে কাজ হচ্ছে না। বারবার জানানো হলেও মাগুরমারি দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে মিলছে না কোনও স্থায়ী সুরাহা। বছরের পর বছর ধরেই চলছে এই ঠেলাঠেলি রাজনীতি, মাঝখানে পিষে যাচ্ছে জনজীবন।
দলীয় রাজনীতির বলি সাধারণ মানুষ? স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এলাকায় বিজেপির পঞ্চায়েত থাকলেও পঞ্চায়েত অফিস তৃণমূল পরিচালিত—ফলে কাজ হচ্ছে না। বারবার জানানো হলেও মাগুরমারি দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে মিলছে না কোনও স্থায়ী সুরাহা। বছরের পর বছর ধরেই চলছে এই ঠেলাঠেলি রাজনীতি, মাঝখানে পিষে যাচ্ছে জনজীবন। (ছবি ও তথ্য : সুরজিৎ দে)
advertisement
4/5
পঞ্চায়েত সদস্যের সাফ স্বীকারোক্তি, উঠে গেল অ্যাকশন প্ল্যান থেকে নাম! এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য ভানুমতীরায় নিজেই জানান, রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব আগের পঞ্চায়েতে ছিল। তবে তিনি দায়িত্বে আসার পর সেই রাস্তার নাম অ্যাকশন প্ল্যান থেকে কেটে দেওয়া হয়। এরপর বারবার জানানো সত্ত্বেও পুনরায় নাম ওঠেনি সেই তালিকায়। প্রশাসনিক স্তরে এই অবহেলা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
পঞ্চায়েত সদস্যের সাফ স্বীকারোক্তি, উঠে গেল অ্যাকশন প্ল্যান থেকে নাম! এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য ভানুমতীরায় নিজেই জানান, রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব আগের পঞ্চায়েতে ছিল। তবে তিনি দায়িত্বে আসার পর সেই রাস্তার নাম অ্যাকশন প্ল্যান থেকে কেটে দেওয়া হয়। এরপর বারবার জানানো সত্ত্বেও পুনরায় নাম ওঠেনি সেই তালিকায়। প্রশাসনিক স্তরে এই অবহেলা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement
5/5
২৬-এর ভোটের আগেই রাস্তা চাই । রাস্তার কোনও স্থায়ী সমাধান না হলে এবার আর চুপ করে বসে থাকবে না গ্রামবাসীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই হবে আন্দোলন করবে । চারা রোপণের প্রতিবাদ তো কেবল শুরু — এবার ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াই শুরু হল। তাঁদের আবেদন তৈরি হোক একটি মজবুত পথ। বর্ষা যতই নামুক, এবার আর ধৈর্য্য হারাতে চাইছে না এই পথের মানুষ!
২৬-এর ভোটের আগেই রাস্তা চাই । রাস্তার কোনও স্থায়ী সমাধান না হলে এবার আর চুপ করে বসে থাকবে না গ্রামবাসীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই হবে আন্দোলন করবে । চারা রোপণের প্রতিবাদ তো কেবল শুরু — এবার ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াই শুরু হল। তাঁদের আবেদন তৈরি হোক একটি মজবুত পথ। বর্ষা যতই নামুক, এবার আর ধৈর্য্য হারাতে চাইছে না এই পথের মানুষ!
advertisement
advertisement
advertisement