পেশায় মৃৎশিল্পী লক্ষ্মী পাল। নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছেন ছোট্ট এক কর্মশালা। ছাঁচে মাটি ঢালা থেকে শুরু করে প্রতিমা শুকানো, রঙ তোলা, চোখ আঁকা, ডাকের সাজ পরানো, সবই করেন নিজের হাতে। তাঁর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় আজ প্রাণ পাচ্ছে হাজার হাজার মাটির লক্ষ্মী প্রতিমা।
আরও পড়ুনঃ ইছামতীর স্বচ্ছতা ফেরাতে অ্যাকশনে ৩ পুরসভা! দুর্গাপুজো মিটতেই বসিরহাটে যা হচ্ছে… নিজের চোখেই দেখুন
advertisement
লক্ষ্মীদেবী বলেন, সংসারের হাল ফেরাতে এই কাজ শুরু করেছিলাম। এখন অনেকটাই ভাল জায়গায় আছি। এই কাজ করেই এখন উপার্জন হয়। আমার তৈরি প্রতিমা বিভিন্ন জায়গায় যায়, এতে আমারও খুব ভাললাগে। লক্ষ্মীপুজোকে সামনে রেখে প্রতিবছর এই শিল্পীর ঘরে চরম ব্যস্ততা থাকে। তৈরি হয় হাজার হাজার প্রতিমা। তাঁর তৈরি প্রতিমার চাহিদা সবসময় তুঙ্গে থাকে। পাইকারি বাজার থেকে শুরু করে খুচরো দোকান, সর্বত্রই লক্ষ্মী পালের প্রতিমা দারুণভাবে বিক্রি হয়।
শুধু জেলার মধ্যে নয়, রাজ্যের বাইরেও শিল্পী লক্ষ্মী পালের প্রতিমা পাড়ি দেয়। এই বছর জার্মানিতেও পৌঁছে গিয়েছে তাঁর হাতে গড়া লক্ষ্মী প্রতিমা। লক্ষ্মীদেবীর স্বামী ভোলানাথ পাল বলেন, বিভিন্ন জেলায় এই মূর্তি যায়। এবার মুম্বই, এমনকি জার্মানিতেও পৌঁছে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
লক্ষ্মীপুজোর আগে প্রতিবছর দারুণ চাহিদা থাকে। লক্ষ্মীর পাশাপাশি সরস্বতী, গণেশ, বিশ্বকর্মা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা তৈরি করেন গড়েন লক্ষ্মীদেবী। নিজের চেষ্টায় অভাবের সংসারেই গড়ে তুলেছেন সাফল্যের গল্প। আগে স্বামী ভোলানাথবাবু সোনা-রুপোর দোকানে কাজ করতেন। তবে এখন তিনি স্ত্রীর এই কাজেই হাত লাগান। একসঙ্গে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দু’জনে কাজ করেন। লক্ষ্মী পালের সাফল্য শুধু তাঁর ব্যক্তিগত লড়াইয়ের গল্প নয়, এটি প্রতিটি পরিশ্রমী নারীর গল্প, যারা অভাবকে হারিয়ে নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন নিজের ভাগ্য।