১৯৯৪ সালে মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন স্বামী। ১৯৯৫ এর দুর্গাপুজোর আগে আগেই মৃত্যু হয় তার। আগে থেকেই সূক্ষ্ম কাজ জানতেন প্রতিমা শিল্পী মনিকা পাল। তবে সেই পরিস্থিতিতে এতগুলো প্রতিমা সরবরাহ করতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছিল তাকে। তবে স্বামীর মৃত্যুতেও, সমস্ত প্রতিমা যথাযথভাবে তৈরি করে বিভিন্ন মণ্ডপে সরবরাহ করেছিলেন তিনি। কঠিন সময়ে প্রশংসা মিলেছিল সবার থেকে। সেই থেকেই শুরু করা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি। সেই দায়িত্বকে এখনও বহমান রেখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের মোহনপুর সংলগ্ন এলাকার প্রতিমাশিল্পী মনিকা পাল।
advertisement
আরও পড়ুন: বোটিংয়ের সঙ্গে রোম্যান্স, একান্তে সময় কাটানো! ঝাড়গ্রামে নতুন স্পট, পুজোর ছুটিতে ঢুঁ মারুন
প্রতিবছর প্রায় দশ টিরও বেশি তিনি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেন। শুধু তাই নয়, সারা বছর ধরে লক্ষ্মী, কালি এমনকি একাধিক মৃন্ময়ী মূর্তিও বানান এই শিল্পী। দুর্গা পুজোর সময়ে প্রতিমা তৈরির জন্য বেশ কয়েকজন কাজও করে তার কাছে। তবে কাঠামো বাঁধা থেকে রং করা এমনকি চক্ষুদান সবই করেন তিনি নিজের হাতেই। এভাবেই দীর্ঘ প্রায় ৩১ টা বছর তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন প্রতিমা তৈরি করে। সকাল থেকে উঠে প্রতিমা তৈরিতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। কারণ সময়ে দিতে হবে দুর্গা প্রতিমা। কখনও থিমে আবার কখনও সাবেকিয়ানায় মূর্তি তৈরি করেন। এর থেকে রোজগারের টাকায় চলে তার সংসার।
তবে যে দায় ও দায়িত্ব নিয়ে তার এই প্রতিমাশিল্পে আসা, স্বামীর মৃত্যুর পর সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। জেলার এই প্রৌঢ়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সকলের কাছে। প্রচারের আলোতে না থাকা সামান্য এই শিল্পীর নিপুনতা এবং তার এই ভাবনাচিন্তা অবাক করে তুলেছে সকলকে।





