আরও পড়ুন: বাগমুন্ডিতে সাইবার সচেতনতা শিবির
এক সময় হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ পরিবার জরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই কাজের জন্য খুব বেশি জায়গা লাগে না। কারখানার পাশাপাশি অনেকে বাড়িতেও জরির কাজ করে রোজগার করেন। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারা জরির কাজ বেশ দক্ষ কারিগর হয়ে উঠেছিল একসময়। সারা বছরে ১০-১১ মাস কাজ থাকে জরির কারিগরদের। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকে বেজায় চাপ দেখা যেত। পুজোর আগে দিন-রাত এক করে কাজে বাড়তি উপার্জন হত কারিগরদের।
advertisement
জরির কাজ করে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, সংসারের খরচা সব কিছুই বজায় হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় দেড় দশক আগে থেকে জরির কাজে মন্দা দেখা দেয়। কাজের মজুরি কমার পাশাপাশি কাজের যোগান কম হতে শুরু করে। ফলে উপার্জন কমে যায় কারিগরদের। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়েছেন বিকল্প পথ খুঁজে নিতে। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত। মিনিস্ট্রি অফ টেক্সটাইলের অধীনে হ্যান্ডিক্রাফট ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপে হাওড়ার পাঁচলা ব্লকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জরির কাজের প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে বাজার উপযোগী কাজ শেখানো হচ্ছে পুরুষ-মহিলা কারিগরদের। জরির কাজের সঙ্গে দক্ষ কারিগরদের শেখানো হচ্ছে সুতো দিয়ে আরির ও হাতের সূচে কাজ বা অন্যান্য সৌখিন কাজ। এই সমস্ত কাজ দেশের নামী শহরগুলি ও দেশের বাইরের বাজারেও পাঠানো হতে পারে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী কাজ পেতে পারেন কারিগররা। এই উদ্যোগের ফলে নতুন করে আশার আলো দেখছে শিল্পে যুক্ত থাকা মানুষ ও তাঁদের পরিবার।
এই প্রসঙ্গে শিল্পী অমল পাল জানান, বেশ কিছু কারিগরদের আরির সূচে সূক্ষ্ম সুতোর কাজে শেখানো হচ্ছে এখানে। এই কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই ভালভাবে শিখতে পারলে লাভবান হবেন কারিগররা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারিগরেরদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের ফলে বাইরে থেকে বেশি জরির কাজ আসতে পারে। তার ফলে আয় বাড়বে সেই শ্রমিকদেরই।
রাকেশ মাইতি





