তৎকালীন বাম সরকারের সহযোগিতায় এই সমস্ত মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম খুঁজে পেয়েছিলেন। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ব্যবস্থার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছিল তাঁদের। যার ফলে এই সমস্ত পরিবারগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা আসে। আগের তুলনায় এই মুহূর্তে গভীর সমুদ্রে দিনের পর দিন কমেছে মাছের পরিমাণ। ফলে বারবার মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে গেলেও ঠিকমতো পাচ্ছেন না মাছ। তার ফলস্বরূপ এই পেশা থেকে পিছু হটতে হচ্ছে তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন : সামান্য বৃক্ষরোপণ নিয়ে কংগ্রেস বনাম তৃণমূল! অশান্তি গড়াল হাতাহাতিতে, স্তম্ভিত স্থানীয়রা
অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে কাজ করছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য কল কারখানায় কাজ করছে অনেক পরিবার। মান্ধাতার আমলের পেশা যাঁরা টিকিয়ে রেখেছেন, তাঁদের জন্য কুলতলী বিধানসভার বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের সহযোগিতায় ডায়মন্ড হারবার এ ডি এফ মেরিন দফতরের তত্ত্বাবধানে কুলতলির মৎস্যজীবী সংগঠন দেউলবাড়ী সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায় ১৫ টি ট্রলার তার মধ্যে হরপার্বতী মা সরস্বতী নামক ট্রলারে এক্সপান্ডার মেশিন স্থাপন করে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ খিঁচুনি, রাস্তায় কাতরাচ্ছিল শিশুটি! দেখতে পেয়ে যা করলেন আধিকারিক, জানলে অবাক হবেন
যার ফলে উক্ত মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে প্রতিকূল আবহাওয়া, বিপদ সংকেত, জলের গভীরতা, ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কিংবা বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও, মাছের বিচরণ ক্ষেত্র, বর্ডার সিগন্যাল, সমস্ত কিছু পরিষেবা এই মেশিন থেকে পাবেন তাঁরা। এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে এই সমস্ত মৎস্যজীবীরা নিরাপদ থাকতে পারবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শানকিজাহানের হর পার্বতী নামক ট্রলারের মালিক ধলু দাস ও মা সরস্বতী ট্রলারের মালিক দিবাকর দাসের কথায়, আমরা এবার থেকে অনেকটা সুরক্ষিত। আমরা আশা করতে পারিনি এভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। এ বিষয়ে কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি ভূপাল মণ্ডলের কথায়, আমাদের এই সংগঠন সর্বদা মৎস্যজীবীদের কল্যাণে নিয়োজিত। আজ আমরা এই সমস্ত পরিবারের পাশে থাকতে পারছি। বিপদ সংকেতের সিগন্যাল জানালে তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে কমান্ডো বাহিনী লোকেশন ট্যাগ করে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারবে।