ছোটবেলা কেটেছে শান্তিপুরের ডাবরেপাড়ায়। যদিও পড়াশোনার কারণে বেশিরভাগ সময় মামার বাড়ি কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ায় থাকত সে। শেষ মুহূর্তে দুর্গামূর্তিতে তুলির টান দিচ্ছে এই তরুণ শিল্পী। পরীক্ষার মাঝে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা শেষে আবার পরীক্ষার পর পুর্ণোদ্যমে প্রতিমা তৈরির কাজে নেমে পড়বে সে। প্রিয়াংশুর মাটির প্রতিমা বানানোর প্রতি ঝোঁক শুরু হয়েছিল ছোটবেলাতেই।
আরও পড়ুন : একান্নপীঠ দর্শনে আর রাজ্যে রাজ্যে ঘুরতে হবে না, এখানে গেলেই পাবেন সুযোগ! কোথায় যেতে হবে?
advertisement
কেবল প্রতিমা নয়, সে নিজেই তৈরি করে প্রতিমার সাজ, চালচিত্র ও অলংকরণ। এভাবেই গড়ে ওঠে তার মিনিয়েচার প্রতিমাগুলি। প্রিয়াংশুর তৈরি প্রতিমা শুধুমাত্র শখের বস্তু হয়েই থেমে থাকেনি, সামাজিক মাধ্যমে সেগুলির প্রচারও হয়েছে এবং অনেক মূর্তি বিক্রি করেছে সে। দুর্গা, কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অন্নপূর্ণা, জগদ্ধাত্রী প্রায় সব ধরনের প্রতিমাই বানিয়েছে, কিন্তু সবই ছোট আকারে। প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে প্রথম এক গৃহস্থ পরিবার তার কাছ থেকে অন্নপূর্ণা মূর্তি কিনে নিয়ে যায় এবং সঠিক পারিশ্রমিক দেয়।
আরও পড়ুন : প্লাস্টিকের লেশমাত্র নেই! দর্শকদের কৌতূহল তুঙ্গে, বার্নপুরের এই প্যান্ডেলে থাকছে বিশেষ চমক
সেই থেকেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে প্রিয়াংশুর। তারপর থেকে নিয়মিত প্রতিমা তৈরি করে আসছে সে। এবছরের দুর্গাপুজোর জন্যও সে বানিয়েছে এক অনন্য দুর্গামূর্তি। যেটি একেবারে প্রাচীন ঘরানার। সচরাচর এমন মূর্তি দেখা যায় না। এখানে সিংহের বদলে দেবী দুর্গার বাহন হিসেবে রয়েছে ঘোটক। এক মাসের পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে এই মিনিয়েচার প্রতিমাটি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগামী চতুর্থীর দিন কৃষ্ণনগরের বউবাজারে পুজো হবে প্রিয়াংশুর গড়া এই দুর্গামূর্তির। স্থানীয় মহলে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে তার সৃজনশীলতা। পড়াশোনায় মনোযোগী হলেও মাটির গন্ধ আর শিল্পকর্মের প্রতি অদম্য টান তাকে নিয়ে গিয়েছে অন্য এক সৃজনশীল জগতে। পরিবারও এখন চায়, উচ্চ মাধ্যমিকের পর তাকে শিল্পকলার দুনিয়ায় আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। পরিকল্পনা রয়েছে, ভবিষ্যতে তাকে ভর্তি হবে আর্ট কলেজে, যেখানে সে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিল্প বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবে।