আর সেই কারণেই তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে আসা হোক এই বিদ্যালয়ে। একাধিকবার এসআইকে জানিয়েও হয়নি কোনও সমাধান। তাই তাঁরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন এদিন বলে জানিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে চাপড়া দিকনগর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জলি পাল সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন অন্যান্য তিন শিক্ষকের উপরে।
advertisement
আরও পড়ুন : ঝাঁপ বন্ধ করার অবস্থা হয়েছিল! ‘আবোল তাবোল’-এ বেঁচে গেল স্কুল, পড়ুয়া বেড়েছে চার গুণ
তিনি জানান, স্কুলের বর্তমান তিন শিক্ষক পার্থসারথি সিংহ রায়, লক্ষণ কুমার সাহা, বাসুদেব বিশ্বাস তিনজনেরই বাড়ি কৃষ্ণনগর। এনাদের মধ্যে পার্থসারথি সিংহ রায় একদমই স্কুলে রেগুলার আসেন না। মাসে ২৫ দিন ক্লাস হলে ৭ থেকে ১০ দিন আসেন। প্রধান শিক্ষকা মনে করছেন, এই তিন জন শিক্ষক অবশ্যই কোনও রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ঠ কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি। না হলে এ ধরনের আচরণ হতে পারে না। এছাড়াও স্কুলে আসলে পরে বাচ্চাদের মিড ডে মিলের টাকা দিয়েই তাঁদেরও রান্নার ব্যবস্থা করতে হয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আছে বলেই আমার উপরে এতটা প্রেসার তারা দিতে পারেন বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষিকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও তিনি এও জানান, স্কুলের অফিস ঘরে একটি চেয়ারে বসে আরেকটি চেয়ারে পা তুলে ধুমপান করেন অভিযুক্ত শিক্ষক পার্থসারথি সিংহ রায়। এমনকি প্রত্যেকটি শ্রেণীকক্ষেও চেয়ার টেবিলের আনাচে-কানাচে ধূমপানের সঙ্গে যুক্ত আবর্জনা পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ফল পাওয়া যায়নি কোনও। অন্যদিকে, এ বিষয়ে অন্যতম অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও, তা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, যার সম্পর্কে যাই থাকুক না কেন, আপাতত অভিভাবকেরা চাইছেন অবিলম্বে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পরিবর্তন করে পুনরায় স্কুলের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।