গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে এসে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। মৃতের নাম সব্যসাচী মণ্ডল। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন সব্যসাচীবাবুর নিরাপত্তারক্ষী রাজবীর সিং। কী কারণে খুন, তা শনিবার দুপুর পর্যন্ত স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে সব্যসাচীবাবুর বাবা দেবকুমার মণ্ডল রায়না থানায় লিখিত অভিযোগে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সুপারি কিলার লাগিয়ে তাঁর ছেলেকে খুন করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তরের মন ছুঁয়ে 'পশ্চিমে' পা মমতার, রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে 'উত্তরণের' পর্ব শুরু
তিনি পুলিশে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর ভাই গৌরহরি মণ্ডল, ভ্রাতৃবধূ পূর্ণিমা মণ্ডল, দুই ভাইপো দীনবন্ধু মণ্ডল ও সোমনাথ মণ্ডল চক্রান্ত করে সব্যসচীকে খুন করিয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার সময় সব্যসাচীবাবুর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরাও এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন দেবকুমারবাবু।
তাঁদের বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে। মাসখানেক আগে সেই বাড়িতেও হামলা করা হয়েছিল। বোমাবাজিও করা হয়। সব্যসাচীবাবুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হয়েছিল গৌরহরির ছেলে। সেই আক্রোশ থেকেই সব্যসাচীকে খুন করা হয়েছে দাবি করেন দেবকুমারবাবু।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে 'অ্যাসাইনমেন্ট', প্রথম বড় দায়িত্বেই টগবগে তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়!
পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব্যসাচীবাবুর সঙ্গে থাকা রাজবীর, পার্থ সাঁতরা ও গাড়ির চালক আনন্দকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময় সকলেই ছাদে ছিল। নীচে আচমকা গুলির শব্দ হয়। নীচে নেমে তারা দেখেন, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে সব্যসাচীকে। বাধা দিতে গেলে রাজবীরকেও কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। জখম অবস্থায় সব্যসাচীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।