মূলত শীতকালে মটরশুটি, পালং শাক, সবুজ বাঁধাকপি, ওলকপি শীতকালীন ফসল। কিছু কিছু গাছ আছে, যা সরাসরি মুল জমিতে রোপন করা যায় না। প্রথমে বীজতলায় বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে চারা তৈরি করে নেওয়া হয়। পরবর্তিতে মূল জমিতে রোপন করা হয়। বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি সহ আরও অনেক গাছের চারা বীজতলায় তৈরিকরা হয়ে থাকে। বিশেষভাবে পরিচর্যার মাধ্যেমে বীজ থেকে রোপন উপযুক্ত চারা তৈরি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দানা’, ঝড়-বৃষ্টি অতীত! এবার রাজ্যের ‘শস্য ভাণ্ডারে’ নতুন হানা, আশঙ্কায় চাষিরা
বীজতলা তৈরিতে যে সকল বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বীজতলার জন্য কেমন জায়গা নির্বাচণ করব। কতো বড়ো জায়গা জুড়ে বীজতলা হবে, মাটি শোধণ কীভাবে করব,বীজতলা কীভাবে প্রস্তুত করব। কী কী সার দিতে হবে,বপনের আগে বীজ কীভাবে প্রস্তুত করব,বীজ কতুটুকু গভীরে বপন করব। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত। বীজতলার জন্য অবশ্যই অবশ্যই ছায়া মুক্ত উচু যায়গা নির্বাচন করতে হবে। পরিচর্যার সুবিধার্থে আদর্শ বীজতলার মাপ দেওয়া হয়েছে ১ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার দৈর্ঘ।
আরও পড়ুন: শুধু চন্দননগর না, বারুইপুরেও জগদ্ধাত্রী পুজো জমজমাট! আলো আর থিমে বিরাট চমক
নির্দিষ্ট জায়গা চাষ দিয়ে বা কোদাল দিয়ে বার বার কুপিয়ে ঢিলগুলো একেবারে গুড়ো করে নিতে হয়। অনেকে বীজতলার মাটি চালুনি দ্বারা চেলে নেন। এটা খুবই উত্তম পদ্ধতি। বীজতলায় রাসায়নিক সার মোটেও দেওয়া যাবে না। তবে জৈব সার ১০×৩ ফিট বীজতলায় ২-৩ কেজী হারে প্রয়োগ করা উত্তম। এর সাথে ২০-৩০ গ্রাম কার্বোফুরান দিতে হবে। তবে মাটি একেবারে অনুর্বর হলে বীজ বপনের ২-১ সপ্তাহ আগে সামান্য পরিমানে পটাশ ও টিএসপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে। বীজতলা তৈরি ও চারার পরিচর্যা সম্পর্কে আমরা সঠিক ভাবে জেনে কাজ শুরু করলে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং লাভবান হওয়া যায়।
সুমন সাহা





