সেই পাতাগুলি বিক্রি করা হয় পাইকারি দামে। যাদের মেশিন রয়েছে থালা তৈরি করার তারা এই পাতাগুলি কিনে নিয়ে যান মহিলাদের থেকে। পাতা ঝরার মরশুমের শেষে সেই চিত্রই ধরা পড়ল বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল সুতানের আমডাঙা গ্রামে।আগেকার দিনে কোথাও কোনও অনুষ্ঠান হলেই শাল পাতা (Leaf Plates), কলা পাতার থালায় খাওয়ানোর চল ছিল ৷ তবে আধুনিক যুগে সেই থালার বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে রং-বেরঙের কাগজের ও থার্মোকলের থালা-বাটি ৷
advertisement
আরও পড়ুন: পান করা, রান্না করা তো আছেই! বাঁকুড়ার এই পুকুরের জল চলে যায় দিল্লি, মুম্বাইও! লুকিয়ে কোন যাদু?
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে মাথায় হাত পড়েছে বাঁকুড়ার আদিবাস সেই পরিবারগুলির, যাঁদের রুটি রুজিই ছিল শাল পাতা ও কলা পাতার থালা বানানো ৷ ছিল বলা ভুল হবে, সেই জীবিকার জোর কমেছে, কিন্তু কচ্ছপের গতিতে সেই জীবিকা আজও জীবিত রয়েছে। মেশিনে কয়েক সেকেন্ডে তৈরি হয়ে যাচ্ছে থালা, তার সঙ্গে কীভাবে পাল্লা দেবে হাতে তৈরি করা সেলাই করা থালা?
প্লাস্টিক কিংবা থার্মোকল অথবা কাগজের থালা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। চিকিৎসকেরা বলছেন যে, প্লাস্টিক থালার মধ্যে পাওয়া যেতে পারে মাইক্রো প্লাস্টিক। এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের দৈর্ঘ্য যদি বেশি বড় হয় তাহলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই প্লাস্টিকের থালাগুলি প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় না, অপরদিকে শালপাতার থালা সম্পূর্ণভাবে অর্গানিক। সেই কারণেই হয়ত সচেতন মানুষের জন্য আজও রিলিভেন্ট জঙ্গলমহলের শালপাতার থালা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





