৫৭ বছর আগে মেদিনীপুর শহরের মানিকপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ভ্রাতৃ সঙ্ঘ’ ক্লাব। ক্লাবের সদস্যরা নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতেন। কাবুল দে বক্সী, তপন চৌধুরী, অসিত দাস, তাপস চৌধুরী, সন্দীপ মিত্র-সহ ক্লাবের বর্ষীয়ান সদস্যদের মধ্যে অনেকেই সেই সময় কুস্তিও করতেন। অংশ নিতেন দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতাতেও। তাঁদের হাত ধরেই মানিকপুর এলাকায় এই পুজোর সূচনা হয়। পূর্বের রীতি ও ঐতিহ্য মেনেই পুজো পরিচালিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জয়চন্ডী পাহাড়ের রহস্যে ঘেরা ‘বাঘ লাইন কালী মন্দির’! ১২০০ বছর আগে কীভাবে মায়ের পুজো শুরু জানেন?
এই পুজোয় প্রতিমা বা ঠাকুর থাকেন গরুর গাড়ির উপর। সেইভাবেই দেবীর পুজো হয়। পুজো শেষে ক্লাবের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে, গরুর গাড়ি টেনে নিয়ে যান। তারপর কাঁসাই নদীতে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করেন। গরুর গাড়িটি অবশ্য তাঁরা ফেরত নিয়ে আসেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে ক্লাবের বর্তমান সদস্য চন্দন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের প্রবীণ সদস্যরা নিয়মিত শরীরচর্চা ও কুস্তি করতেন। তাঁদের দেহ ছিল পালোয়ানদের মতোই সুন্দর, সুঠাম। পুজো শুরুর সময়ে তাঁরাই মৃৎশিল্পীকে বলেন, আমাদের মা কালীও হবে আমাদের মতো সুদেহী, সুবিশাল।’
প্রথম প্রথম ২৫-২৬ ফুট উচ্চতার কালীঠাকুর হলেও, বর্তমানে জায়গার অভাবে ২০ ফুট উচ্চতার ও মানানসই রূপের মূর্তি গড়া হয়। স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হলেও, এই পুজোয় শহরের ১০নং ওয়ার্ডের সকল বাসিন্দারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন বলে জানান পুজো উদ্যোক্তারা।