দুর্গাপুজোয় সেখানে উপস্থিত না থাকতে পারে অত্যন্ত কষ্ট পান মহারাজা। সেই রাতেই মা জগদ্ধাত্রী রাজার স্বপ্নে দর্শন দিয়ে তাঁকে পুজোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে মা দুর্গার বিকল্প হিসেবে মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয় বাংলায়। পরবর্তীকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফরাসিদের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী তৎকালীন ফরাসডাঙ্গা অর্থাৎ বর্তমানের চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালনায় শতবর্ষ প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো! অষ্টমীর রাতে বিরাট আয়োজন, সাংসদের হাতে উদ্বোধন, বস্ত্র বিতরণ
কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। যদিও বছরটি নিয়ে মতবিরোধ আছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রবর্তনের বছর হিসাবে উল্লেখ আছে ১৭৬৩ বা ১৭৬২। অন্য একটি মত অনুসারে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল ১৭৫৪ সালে।
আরও পড়ুনঃ মাতৃ রূপে মেয়ের পুজো! বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে প্রথমবার কুমারী পুজো, সাক্ষী থাকুন আপনিও
তৎকালীন সময়ে কৃষ্ণনগরের রানি মা রাজবাড়িতে বসেই জগদ্ধাত্রী মায়ের দর্শন করতেন। তাই সেই সময় থেকে নিয়ম মেনে দেবীর বিসর্জনের আগে রাজবাড়ির সামনে থেকে ঘুরিয়ে আনতে হয় জগদ্ধাত্রী প্রতিমাকে। জগদ্ধাত্রী পুজোর সকালে পালকিতে দেবীর ঘট জলঙ্গীর জলে ভরে আনার প্রথা রয়েছে। তবে যোগাযোগ উন্নত হলেও এখনও প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী সাঙে করে অর্থাৎ কাঁধে চেপেই রাজবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন মা জগদ্ধাত্রী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজও ঐতিহ্য ও পরম্পরা বজায় রয়েছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে। বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটি জগদ্ধাত্রী পুজো করলেও কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে অসংখ্য ভক্ত ও সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে থাকে একবার রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী দেবীকে দর্শন করার জন্য।





