তবে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান প্রশাসনের কাছে থেকে কর্ম সমিতির প্রবীণতম সদস্যের নাম চেয়ে পাঠিয়েছে মন্ত্রক।কর্তৃপক্ষ সেটি কার্যকরও করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।তেমনটা হলে সেই প্রবীণতম সদস্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সেই নির্দেশিকা দেয় কিনা সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।এর অন্যথা হলে নতুন ও স্থায়ী উপাচার্য না আসা পর্যন্ত কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক ওই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার সামলাবেন।
advertisement
আরও পড়ুন : সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত বীরভূমে, তবুও পর্যটকদের ভিড় তারাপীঠ মন্দির চত্বরে
যেহেতু লোকসভা নির্বাচন চলছে ফলে এত তাড়াতাড়ি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই, নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় উপাচার্যের দায়িত্বভার সঞ্জয়বাবুই সামলাবেন, এমনটাই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। যদিও শনি ও রবিবার দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিছিল। এমতাবস্থায়, শিক্ষামন্ত্রক এইদিন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কিনা সেদিকেই নজর সকলের।বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতপ্রতিষ্ঠানে একজন স্থায়ী উপাচার্যের অনেক ভূমিকা থাকে। প্রশাসনিকস্তরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হন স্থায়ী উপাচার্য। তাই স্থায়ী উপাচার্য না থাকার অর্থ হল বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে থাকা। তবে এই ঘটনা বিশ্বভারতীর ইতিহাসে নতুন নয়।
এর আগেও স্থায়ী উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে অপসারণ করা হলে তাঁর পরিবর্তে প্রথমে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক স্বপন দত্ত ও পরে অধ্যাপক সবুজকলি সেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বভার পালন করেন।এই সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পদ খালি থাকলেও তা পূরণ করা যায়নি। এরপর ২০১৮ সালে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে আসেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাঁর পাঁচ বছরের অধ্যায় ছিল চূড়ান্ত বিতর্কিত। গতবছর ৮ নভেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এরপরই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে পদে বসেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক।
সৌভিক রায়