ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের পর, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবাদে রেলপথ স্থাপন করে ইংরেজরা। ইংরেজ শাসনকালে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে স্থাপন করেন তারা। যা পরবর্তীতে পরবর্তীতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শাখায়। আজ থেকে প্রায় একশ বছর পিছনে গেলে দেখা যাবে খড়গপুর শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট এক গঞ্জ এলাকায় স্থাপিত হয় রেলস্টেশন। যে স্টেশনের নাম দেওয়া হয় কন্টাই রোড স্টেশন। মূলত কাঁথি শহরকে কেন্দ্র করে শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে, তৎকালীন গঞ্জ বেলদাতে স্থাপিত হয় স্টেশন। যদিও সে স্টেশনের নাম ছিল কন্টাই রোড। আজ থেকে সামান্য কয়েক বছর আগে নাম বদলে হয় বেলদা স্টেশন।
advertisement
ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন, বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের মধ্যে আজ থেকে প্রায় ১২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই স্টেশনটি। মূলত ইংরেজদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সামান্য এক গঞ্জ এলাকায় স্থাপিত হয় স্টেশন। এখানে থামত ট্রেন। জানা যায়, বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগো এই স্টেশনেই ট্রেন ধরেছিলেন, রীতিমতো যাতায়াত করতেন। শুধু তাই নয় এই স্টেশন থেকে অনতি দূরে নারায়ণগড় রেলস্টেশনের কাছে অত্যাচারী শাসক এন্ড্রু ফ্রেজারের ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় বিপ্লবীরা। স্বাভাবিকভাবে শুধু ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নয়, স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিপ্লবের ইতিহাস।
তবে বর্তমান এই স্টেশনের ভোল বদলেছে। অমৃত ভারত স্টেশনের আওতায় এসেছে বেলদা স্টেশন। হয়েছে থার্ড লাইন। স্বাভাবিকভাবে এখানে দাঁড়ায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। স্টেশনের পুরনো চালচিত্র বদলে গিয়েছে। নতুনভাবে সেজে উঠেছে স্টেশনটি। বহু মানুষ প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে যাতায়াত করেন। তবে ১২৫ বছরের গৌরবময় ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই স্টেশনকে কেন্দ্র করে, যা সকলের কাছে অত্যন্ত গর্বের।
রঞ্জন চন্দ