কুল চাষি বিকাশ মণ্ডলের কথায়, “মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই তাঁর বাগানের প্রতি পরিচর্যা এবং যত্নের ফলে ভারত সুন্দরী কুল গাছে ব্যাপক ফলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই দেখে অনুপ্রেরণা পান অন্যান্য চাষিরাও। তাঁকে দেখে ইতিমধ্যেই বহু চাষি এগিয়ে এসেছে এই কুল চাষে। এই কুল চাষ গতানুগতিক চাষের বাইরে ভাল আয়ের বিকল্প চাষ হিসাবে জেলার অন্যান্য কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়িয়েছে।”
advertisement
বর্তমানে এই কুল বালুরঘাট শহর-সহ জেলার মানুষের মন কেড়েছে ইতিমধ্যেই। খাদ্যপিপাসু সাধারণ মানুষদের দাবি, শুধুমাত্র দেখতেই সুন্দর নয়, পাশাপাশি অসাধারণ স্বাদ এবং গন্ধ রয়েছে ভারত সুন্দরী কুলে।
কুল চাষেও মিলতে পারে দ্বিগুন লাভ। তবে সে ক্ষেত্রে সঠিক পরিচর্যা বিশেষ প্রয়োজন।
তবে তাদের গলায় আক্ষেপের সুর। কুল চাষ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রশিক্ষণের বলা হলেও বাস্তবে সেই প্রশিক্ষণের বিষয় খাতা কলমেই রয়ে গিয়েছে। আজও সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করা হয়নি এমনই অভিযোগ স্থানীয় কুল চাষিদের। চাষিরা চাইছেন শীঘ্রই চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। তাহলে আরও উন্নত মানের চাষ করবার পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলের পরিমাণও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। বিকাশ মণ্ডলের অভিনব কুল চাষের বাগান নজর কাড়ছে সকলের। জেলায় প্রথম নয় এই কুল চাষ। তবে বিগত কয়েক বছর অন্যান্য সবজি চাষ করলেও তিন বছর ভারত সুন্দরী কুল চাষের ফলন ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। তাই গতানুগতিক অন্যান্য চাষ বাদ দিয়ে কুল চাষের দিশা দেখাচ্ছেন বিকাশ বাবু।
সুস্মিতা গোস্বামী