সূত্র মারফত জানা গেছে, বাদুড় মেরে তার মাংসের জন্য বেশ কয়েকজন যুবক খড়গপুর থেকে এসেছিল মেদিনীপুরে। তাল গাছে উঠে বাদুড়ও মারে বেশ কয়েকশো। তবে হল না শেষ রক্ষা। অবশেষে বন দফতরের জলে চারজন বাদুড় শিকারি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে বন বিভাগের তরফে।
বাদুড় শিকার করে তার মাংস খাবার পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো খড়্গপুরের নিমপুরা থেকে চারজন এসেছিলেন মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায়। পাল বাড়িতে একটি তালগাছে হানা দেয় চারজন। গাছে থাকা প্রায় শতাধিক বাদুড় মারে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে। ৫৫০ টি বাদুড় মেরে বন দফতরের জালে খড়্গপুরের চারজন।
advertisement
তাল গাছ থেকে ব্যাগ নিয়ে নামতেই ঘিরে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাগ দেখে চক্ষু চড়ক গাছ তাদের। তাতে কয়েকশো বাদুড় মেরে রাখা রয়েছে। খবর যায় বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে আসে মেদিনীপুর রেঞ্জ অফিসে। ঘটনাটি বুধবার মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন- আরও বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন শামি! এবার হাসিন যা দাবি করলেন, জানলে চমকে যাবেন
পশুপ্রেমী দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, “কয়েকজন যুবক তাল গাছে ওঠে বাদুড় মেরে ব্যাগ বন্দী করে। এরপর সাধারণ মানুষের থেকে লুকোতে তারা জঙ্গলে লুকিয়ে দেয় ব্যাগ। চাপ দিতে তাদের থেকে বেরোয় শতাধিক মৃত বাদুড়। যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হানিকারক এবং মানুষের লোভ-লালসার জন্য অকালে ঝরে গেল এতগুলো প্রাণ।”
জানা গিয়েছে, ওই চারজন পালবাড়ি এলাকায় একটি তাল গাছে উঠে বাদুড় মারছিল। স্থানীয়রা বুঝতে পেরে তাদের গাছ থেকে নামিয়ে ঘিরে ধরেন। ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে দেখতে পান কয়েকশো বাদুড় মেরে ফেলেছে। সঙ্গে বাদুড় ধরার একাধিক সরঞ্জাম ছিল তাদের কাছে। এরপরই বনকর্মীরা এসে ওই চারজনকে আটক করে। বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে, ওই চারজন খড়্গপুরের নিমপুরা এলাকার বাসিন্দা।
তারা এর আগেও এভাবে বাদুড় মেরে তার মাংস সংগ্রহ করত। গোপগড় বিটের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক বাদুড় মেরেছে। বাদুড় ধরার জাল-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।”
রঞ্জন চন্দ