এ বার তার অনেকটা আগেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কার্তিক মাসের শুরু থেকেই গাছে মেলে রস। প্রায় মাঘ-ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে। শীতের সময় অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর অনেক বেশি। জঙ্গলমহলের নানান স্থানের উৎপাদিত গুড়ের দেশের বিভিন স্থানে ব্যাপক চাহিদা থাকে বলে জানান তাঁরা। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। শিউলিদের অনেকেই জানাচ্ছেন, আগে ভাগেই গাছকে চিহ্নিত করতে হয় না হলে অন্য জায়গার লোক এসে তা দখল করে নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন : ৭ লক্ষ দেশলাই কাঠিতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা! অবাক করা প্রতিমা দেখার অপেক্ষায় ব্যারাকপুর
যার জন্য আমরা এখানে এসেই গাছ গুলি চিহ্নিত করে গেলাম। বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় বাঁকুড়া থেকে শিউলিরা এসে গাছ প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। কারন বেশি দেরি হলে গাছ না পেলে সমস্যায় পড়বেন তারা। তাই এই সময়ে এখানে এসেছেন। অগ্রহায়ণের এই সময়ের মধ্যে তাঁরা অন্তত দেড়শো থেকে দু’শো খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। একটা খেজুর গাছ তিনবার কাটার পর তাতে নলি লাগিয়ে রসের জন্য ভাঁড় পাতা হয়। একটা খেজুর গাছ থেকে দিনে দু’বার রস মেলে। ভোরের রসকে জিরান কাঁঠির এবং বিকালের রসকে ওলা কাঁঠির বলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পৌষ মাসে পুরোদমে রস মেলার পর মাঘ থেকে রস কমতে শুরু করে। ওই সময়ে রসের ঘনত্ব বাড়ে। তবে গাছকাটার পর প্রথম দিকের রসে গুড় ভাল হয়। ওই সময়ে খেজুর গাছের ধারে দাঁড়ালে সুস্বাদু গন্ধে চারধার ম ম করে। রাঢ় অঞ্চলের জঙ্গলমহলের অন্যতম বনজ সম্পদ খেজুর রস। বিশেষ ধরনের এই গাছ ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বিস্তীর্ন অঞ্চলে শুষ্ক আদ্র রুক্ষ মাটিতে দেখতে পাওয়া যায়৷ শীতের শুরুতেই জঙ্গলমহলে মেলে খেজুরের রস। যার চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। তবে সকালের গড়িয়ে দুপুর হলে সেই রসের স্বাদ আর ভাল লাগে না।