চলতি বছরের অক্টোবর মাসে গবেষণার কাজ শেষ করে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই যুদ্ধের আবহে উৎকণ্ঠা বাড়ছে বন্দিপুর উপনিবেশ এলাকায় থাকা তাঁর পরিবারের মধ্যে। গত শুক্রবার থেকেই তেহরান-সহ একাধিক ইরানি শহরে নজিরবিহীন হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। সেই পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই দেশের বহু সাধারণ মানুষ। ইরানে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।
advertisement
দিব্যর পরিবার জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁকে ল্যাবে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। সাইরেন বাজলেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছুটে যেতে হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড শেল্টারে। দিব্যর কাকা শুভময় মুখোপাধ্যায় জানান, গত শনিবার দিব্যদের বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিমি দূরেই শেল পড়ে বলে ফোনে জানিয়েছে। তখন সাইরেন বেজেছিল, সঙ্গে সঙ্গে ওরা মোবাইল অ্যালার্ট পেয়ে শেল্টারে চলে যায়। রবি ও সোমবারেও বারবার অ্যালার্ট এসেছে।
আজ সকালেও আবার সাইরেন বেজেছে। তবে ওর সঙ্গে আমরা নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ রাখছি। যদিও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেই ও জানাচ্ছে। তবুও যেন দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না গোটা পরিবারের।এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দিব্যর বাড়িতে হাজির হয় রহড়া থানার পুলিশ। সকালে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। রহড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ঋকবেদ সাহা আশ্বস্ত করে জানান, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেন পরিবার যোগাযোগ করে।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগেও গাজার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলে দিব্য কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাস খানেক পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে তিনি ফের ইসরায়েলে ফিরে যান। তবে এবারের সংঘর্ষ আগের তুলনায় অনেক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলেই অনুমান পরিবারের। এই পরিস্থিতির কবে বদল ঘটবে তা এখন অনিশ্চিত। তবে দিব্যর পরিবার শুধু চায়, তাদের ছেলে যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে। আর সেই প্রার্থনাতেই এখন দিন গুনছে খড়দহের বন্দিপুর এলাকার এই ছাত্রের পরিবার।
Rudra Narayan Roy